ইবি প্রতিনিধি
সুবংকর রায়
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শহীদ জিয়াউর রহমান হলে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা অগ্রাধিকার পাবে’ উল্লেখ করে আবাসিকতার জন্য অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের আহ্বান করা হয়। গত মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) শহীদ জিয়াউর রহমান হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শেখ এ বি এম জাকির হোসেন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।
এরপর বিজ্ঞতি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনা ঝড় উঠলে তড়িঘড়ি করে সংশোধনী নোটিশ দিয়েছেন হল প্রভোস্ট।
বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা যায়, শহীদ জিয়াউর রহমান হলে ২৭ নভেম্বর থেকে ৮ ডিসেম্বরের মধ্যে আবাসিকতার আবেদন আহ্বান করা যাচ্ছে। ফরম বাবদ দুইশত টাকা হলের ৬১৪ নং একাউন্ট নম্বরে জমা দিয়ে হল অফিস থেকে ফরম সংগ্রহ করে যথাযথভাবে পূরণ করে হল অফিসে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলো। এতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা অগ্রাধিকার পাবে।
পরে বিজ্ঞতি সমালোচনা বিষয় হয়ে ওঠায় ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা অগ্রাধিকার পাবে’ অংশটি কেটে দিয়ে আজ (বৃহস্পতিবার) সংশোধনী বিজ্ঞপ্তিটি দেয় হল প্রভোস্ট।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবির সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, বিজ্ঞপ্তির বিষয়ে আমি হলের সীট বরাদ্দের নোটিশ নিয়ে অবগত ছিলাম না। এটা তো এক ধরনের বৈষম্য। ওনি অন্তত আমারে জানাতে পারতো। আমাদের কখনোই এমন কোনো দাবি বা চাওয়া ছিল না, আগামীতেও থাকবে না। আন্দোলন করেছি বৈষম্যহীন সমাজ গড়ার লক্ষ্যে। সেই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করতে চাই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শেখ এ বি এম জাকির হোসেন বলেন, আমি এটার জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। আসলে জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনা থেকেই আগে একটা খসড়া কপি ছিল তা প্রিন্ট করে টাঙানো হয়েছে। কেউ চাপে বা প্রভোস্ট কাউন্সিলের সিদ্ধান্তে এমন করা হয়নি। এটা শুনার সাথে সাথে সংশোধনী নোটিশ দিয়েছি।
আমাদের নিউজ পোর্টালের যে কোন সংবাদ কপি করা দন্ডনীয় অপরাধ। আমরা সর্বদা সত্য ন্যায় সচ্ছতা ও সঠিক নিউজ প্রকাশে বদ্ধ পরিকর। দৈনিক যুগবাহক দেশের ও দেশের মানুষের সেবাই সর্বদা নিয়জিত।