বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, জামালপুর জেলা ইউনিট এখনো যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেতা ও কিশোরগ্যাংদের দখলে। ‘JMR’ নামক একটি কিশোরগ্যাং পরিচালনা করে জেলা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিট।
বিগত ৫ আগষ্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পালিয়ে যান জেলা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক মাসুম রেজা রহিমসহ অন্যান্য দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা। বর্তমানে অচল অবস্থা বিরাজ করছে এখানে।
JMR নামক একটি কিশোরগ্যাং এর সদস্য ও যুবলীগ, ছাত্রলীগের পদ নিয়ে কিভাবে প্রকাশ্যে তারা রেড ক্রিসেন্ট অফিসে বসেন তা নিয়ে নানা মহলে উঠেছে আলোচনা সমালোচনা। শহরের কেন্দ্রবিন্দু ফৌজদারি মোড়স্থ জেলা ইউনিট অফিসে বসে আওয়ামী দোসরা প্রকাশ্যে নানা নাশকতার পরিকল্পনার করে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে জেলা রেড ক্রিসেন্টকে দলীয়করণ, অর্থলোপাট, অন্যান্য সেচ্ছাসেবকদের শারীরিক ও মানষিকভাবে হেনস্তাসহ নানা অভিযোগ রয়েছে JMR গ্রুপের বিরুদ্ধে। সেচ্ছাসেবকদের সম্মানীর অর্ধেক টাকা নিজের পকেটে তুলেন JMR গ্রুপের প্রধান, যুবলীগ নেতা ও জেলা রেড ক্রিসেন্টের তথাকথিত ভারপ্রাপ্ত যুবপ্রধান সামিউল ইসলাম দুখুর বিরুদ্ধে।
বিগত সরকারের আমলে সাদ্দাম হোসেন জামালপুর জেলা ইউনিটের যুবপ্রধানের দ্বায়িত্ব গ্রহণ করে। সাদ্দাম হোসেনের অবর্তমানে জোরপূর্বক অবৈধভাবে ভারপ্রাপ্ত যুবপ্রধান বনে জান ও অফিস দখল করেন সামিউল ইসলাম দুখু। এরপর থেকেই নিজের লোকজন দিয়ে জেলা রেড ক্রিসেন্ট পরিচালনা করে দুখু।
জেলা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের অফিস সহকারী কামরুল হাসান বলেন, বিগত ৪ মাস যাবত এডহোক কমিটি নাই। তাই বর্তমানে ইউনিটের অচলাবস্থা বিরাজ করছে। আশা করি নতুন কমিটি আসলেই সমাধান হয়ে যাবে।
ইউনিট অফিসার জিয়াউল আহসান জানান, আমার কাছে ৫০ জনের একটা সদস্য তালিকা আছে। নভেম্বরের মাসে আমরা তাদের সহযোগিতায় ১ হাজার মানুষের মাঝে ফুড প্যাকেজ বিতরণ করেছি। আমার কাছে যে আসে আগ্রহ প্রকাশ করে আমি তাকেই সুযোগ করে দেই। বিগত ৪ মাস যাবত এডহোক কমিটি নাই। আশা করি সামনের দিনগুলোতে সব সমাধান হয়ে যাবে।
জামালপুর থেকে জাকিরুল ইসলাম বাবু