খুলনার ডুমুরিয়ায় আদালতের নির্দেশনা উপেক্ষা করে ইট প্রস্তত ও পোড়ানো ৭ ইট ভাটাকে ১১ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত

লেখক:
প্রকাশ: 1 day ago

মোঃ রবিউল হোসেন খান : খুলনা: খুলনার ডুমুরিয়ায় আদালতের নির্দেশনা উপেক্ষা করে ইট প্রস্তুত ও পোড়ানো ৭টি ইট ভাটাকে ১১ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। উচ্চ আদালতের নির্দশনা উপেক্ষা করে ইট প্রস্তুত ও পোড়ানো এবং ইট ভাটা নিয়ন্ত্রণ আইন লংঘনের দায়ে ৭ টি ইট ভাটাকে ১১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ৬ জানুয়ারী দিন ব্যাপি ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে এ জরিমানা ধার্য্য এবং পানি ছিটিয়ে ভাটার জলন্ত চুল্লী নিস্ক্রিয় করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন খুলনা বিভাগীয় পরিবেশ দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্টেট মমতাজ বেগম এবং ডুমুরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার ( ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: আসাবুর রহমান। অভিযানে দন্ডপ্রাপ্ত ইটভাটা গুলো হলো- আটলিয়া ইউনিয়নের কুলবাড়িয়া এলাকায় অবস্থিত আব্দুল হাই বাহারের মেসার্স বাহার ব্রিক্স এর চুল্লী ভেঙে দেওয়া হয় এবং পানি ছিটিয়ে ভাটার জলন্ত চুল্লী নিভিয়ে নিস্ক্রিয় করা হয়। খর্নিয়া ব্রিজের উত্তর পাশে অবস্থিত শাহাজাহান জমাদ্দারের মালিকানাধীন সান ব্রিকসে ২ লাখ টাকা, রানাই এলাকায় অবস্থিত মেরি ব্রিকসে ২ লাখ টাকা ও আব্দুল লতিফ জমাদ্দারের জেবি ব্রিকসে ২ লাখ টাকা, আমিনুর রশিদ মালিকানাধীন লুইন ব্রিকসে ২ লাখ টাকা, চহেড়া এলাকায় গাজী আব্দুল হকের সেতু ব্রিকসে ১ লাখ টাকা, শোলগাতিয়া এলাকায় ইকবাল জমাদ্দারের স্টোন ব্রিকসে ২ লাখ টাকা জরিমানা সহ মোট ১১ লাখ টাকা জরিমানা ধার্য্য করা হয়।এ সময় অধিকাংশ ইট ভাটার চুল্লীতে পানি দিয়ে নিস্ক্রিয় করা হয়।এর আগে গত বৃহস্পতিবার উপজেলার শোলমারী নদী তীরবর্তী এন, কে, বি, ব্রিক্সে ৫ লাখ টাকা, এস বি ব্রিকসে ২ লাখ টাকা, সেতু ব্রিকসে অভিযান চালিয়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। আদালত সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, ডুমুরিয়া উপজেলার খর্নিয়া ও শোলগাতিয়া এলাকায় ভদ্রাও হরি নদীর চর ভরাটিয়া জমির কিছু অংশ দখল করে গড়ে উঠেছে বেশ কয়কটি ইটভাটা। ইটভাটা গুলোর লাইসেন্স এবং পরিবেশ দপ্তরের ছাড়পত্রের মেয়াদ বেশি সময় ধরে উত্তীর্ন হলেও অবৈধ ভাবে তা পরিচালিত হয়ে আসছে।প্রসঙ্গত ডুমুরিয়ায় অবৈধ ভাবে পরিচালিত ইটভাটা নিয়ে ২০২১ সালে হাইকোর্টে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিচ ফর বাংলাদেশ নামে একটি মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানের রিট মামলার পরিপেক্ষিতে ভদ্রা ও হরি নদীর তীরবর্তী ১৪ টি ইটভাটায় সরকারী জায়গা দখল এবং পরিবেশ দপ্তরের ছাড়পত্র বিহীন ইটভাটা গুলো বন্ধে জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেন।যার প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসন ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে ৬ টি ইটভাটা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা এবং ৮ টি ইট ভাটা সিলগালা করে বন্ধ করে দেয়।কিন্তু অসাধু ভাটা মালিকরা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে তাদের ইটভাটা গুলো আবারও পরিচালনা করতে থাকেন।ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করার সময় উপস্থিত ছিলেন, পরিবেশ দপ্তরের এনফোর্সমেন্ট টীম, ডুমুরিয়া থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।

 
error: Content is protected !!