খুলনা ঐতিহ্যবাহী পঞ্চবীথি ক্রীড়াচক্র ” দখল” নিয়ে পাল্টা পাল্টি অভিযোগ

লেখক:
প্রকাশ: 3 months ago

 

মোঃ রবিউল হোসেন খান : খুলনা ব্যুরো : খুলনা নগরীর শান্তিধাম মোড় এলাকায় অবস্থিত ঐতিহ্যবাহি পঞ্চবীথী ক্রীড়া চক্রের কার্যালয় দখল করে দলের মহানগর ও জেলা অফিসের সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়েছে ভিপি নুরের গনঅধিকার পরিষদ। গতকাল দুপুর আড়াইটার দিকে ঔই ক্লাবের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে নেতাকর্মীরা” গনঅধিকার অধিকার পরিষদ” খুলনা মহানগর ও জেলা কার্যালয় লেখা একটি সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে দেন তারা।খুলনা নগরীর শান্তিধাম মোড় এলাকায় পঞ্চবীথি ক্রীড়া চক্র ক্লাবটির যে ভবনে কার্যক্রম পরিচালনা করা হতো সেটি মুলত গনপুর্তের একটি পুরাতন দ্ধিতল ভবন।ভবনের দ্ধিতীয় তলার তিনটি রুমে ক্লাবের কার্যক্রম চলতো।আর নিচ তলায় একটি সাহিত্য একাডেমি,সুরঝংকার,সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং চিকিৎসক এর চেম্বার রয়েছে। জানা যায়, পাকিস্তান আমল থেকে পঞ্চবীথি ক্রীড়া চক্র ক্লাবটি খুলনায় সুপরিচিত। খুলনা জেলা ক্রীড়া সংস্থার তালিকা ভুক্ত এ ক্লাবটি খুলনা বিভাগীয় ক্রিকেট লীগ ও প্রিমিয়ার ক্রিকেট লীগ খেলায় একাধিকবার শিরোপা জয়ী।খুলনা নগর বিএনপির সাবেক আহবায়ক ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সাবেক সভাপতি আলী আজগর লবী সহ একাধিক ক্রীড়ানুরাগী এই ক্লাবের নেতৃত্ব থেকে পদ পেয়েছেন বিসিবি, জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থায়।শুরুতে শান্তিধাম এলাকায় তারের পুকুর জাতী সংঘ মাঠ এলাকায় ক্লাবটি পরিচালনা করা হলেও ২০১০ সালের দিকে গনপুর্ত বিভাগ- ২ থেকে দোতালায় তিনটি কক্ষ নিজেদের নামে বরাদ্দ নেয় তারা।এরপর গত প্রায় ১৪ বছর ধরে সেখানে ক্লাবের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন পঞ্চবীথি ক্রীড়া চক্রের কর্মকর্তারা। তবে বিভিন্ন সময় সেখানে জুয়া খেলার অভিযোগ পাওয়া যায় এই ক্লাবের বিরুদ্ধে। গত ৫ আগষ্ট ছাত্র জনতার গনঅভ্যুত্থানের পর ক্লাব একপ্রকার বন্ধ রয়েছে। গতকাল হঠ্যাৎ তালা ভেঙে সেখানে গনঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের প্রবেশ করায় হতবম্ব হয়ে গেছেন তারা। গনঅধিকার পরিষদের খুলনা মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম বলেন,আমাদের কাছে দীর্ঘ দিন ধরে অভিযোগ ছিল পঞ্চবীথি ক্রাড়া চক্রের অবৈধ কার্যক্রম চলতো।এখানে জুয়া খেলা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের অসামাজিক কার্যক্রম পরিচালনা করা হতো। ৫ আগষ্টের পর এসব অভিযোগের ব্যাপারে খোজ খবর নেওয়া হয়।খোজ নিয়ে জানতে পারি ক্লাবটি অবৈধ ভাবে জায়গা দখল করে আছে। এর পর আমরা আমাদের প্রক্রিয়াতে বারবার তাদের বলেছি। তারা সরবে না বিধায় আমরা স্থানীয় ও আরো যে সমস্ত রাজনৈতিক দল আছে সবাইকে বলে এটাকে উচ্ছেদের জন্য আজ এসেছি।এখানে যেন কোন ধরনের অনৈতিক কাজ না হয় সেজন্য আমরা আজ থেকে এখানে পাহারায় থাকবো।একই সাথে কক্ষ তিনটি গনঅধিকার পরিষদের নামে বরাদ্দ নেওয়ার জন্য গনপুর্ত ও বিভাগীয় কমিশনারের কাছে আবেদন করা হয়েছে। তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ ও ব্যানার টানিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বার বার বলা হলেও তারা তা শোনেনি,তারা তাদের কার্যক্রম চালিয়ে গেছে।এ কারনে এটা করা হয়েছে। ব্যানার টানানোর ব্যাপারে বলেন,কে বা কারা পাবে কাদের সাথে যোগাযোগ করবে এ কারনে ব্যানার টানিয়ে দেওয়া হয়েছে। পঞ্চবীথি ক্রীড়া চক্রের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো: নাজমুল ইসলাম বলেন,সরকারী ভাবে বরাদ্দ নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে সেখানে পঞ্চবীথি ক্রীড়া চক্রের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। প্রায় ৬ মাস ক্লাবটি তালাবদ্ধ হয়ে পড়ে আছে।সেখানে যদি কোনো অনৈতিক কার্যক্রম চলতো তাহলে সাধারণ মানুষের সেটা জানার কথা।তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশের ব্যাপারে আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।খুলনা নাগরিক সমাজের সদস্য সচিব বাবুল হাওলাদার বলেন,রাজনৈতিক দল গুলোর কাছ থেকে এভাবে দখল দারিত্ত্ব জনগন আশা করে না।এজাজিও দখল দারিত্ত্ব অন্যর সম্পদ দখলে অসাধু ব্যাক্তিদের উৎসাহিত করে এবং শান্তি প্রিয় মানুষকে মানষিক ভাবে আগাত করে।এর ফলে দুবৃর্ত্তরা সরকারি সম্পদ দখলে উৎসাহিত হতে পারে।ফলে নগরীর শান্তি শৃংখলা বিঘ্নিত হওয়ার আশংকা সৃষ্টি হয়।রাজনৈতিক দল গুলোর পক্ষ থেকে এজাতীয় হীন কাজ পরিহারে তাদের দলীয় সদস্যদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি মুলক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। একইভাবে অন্যায় প্রতিহত ও সরকারি সম্পদ রক্ষার জন্য প্রশাসনকে ও আইনগত পদক্ষেপ নিতে হবে।

 
error: Content is protected !!