খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে দুই হাজার বেডে উন্নীত করা সহ ১৭ দফা দাবীতে স্মারকলিপি প্রদান।

লেখক:
প্রকাশ: 2 months ago

মোঃ রবিউল হোসেন খান :

খুলনা : খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে দুই হাজার বেডে উন্নীত করা সহ ১৭ দফা দাবীতে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। গতকাল সকাল সাড়ে ১১ টায় বৃহত্তর আমরা খুলনাবাসীর পক্ষ থেকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা: মো: মোহসিন আলী ফরাজীর অফিস কক্ষে এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। বৃহত্তর আমরা খুলনানাসীর প্রতিনিধি দল হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালককে বলেন, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ২৫০ বেড দিয়ে শুরু হলে ও বর্তমানে ৫০০ বেড থাকলেও ২৫০ বেডের দ্ধিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণীর একই জনবল দিয়ে কাজ করায় এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে রোগী ভর্তি ধারন ক্ষমতার চেয়ে ৩ থেকে ৪ গুন রোগী ভর্তি হয়ে জায়গা না পেয়ে ফ্লোরে,বারাবারান্দায়, সিড়ির কোরিডর সহ যত্রতত্র রোগী থাকায় রোগীর সজনরা দুরে থাক, ডাক্তার নার্স,স্টাফ,চলাচল কষ্ট সাধ্য হয় অনেক ক্ষেত্রে সাস্থ্য সেবা বিঘ্ন ঘটে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথেসাথে দক্ষিন পশ্চিম অঞ্চলের মধ্যে নিন্মবিত্ত,নিন্ম মধ্যবিত্ত ও মধ্য বিত্তদের একমাত্র সপবা পাওয়ার স্থান। দাবী গুলো হলো : হাসপাতালটি দ্রুত ২০০০ বেডে উন্নীত করা, প্রতিদিন অনেক মানুষ ডেঙ্গু জরে আক্রান্ত হচ্ছে তাদের সুচিকিৎসা করতে খুমেক হাসপাতালে ডেঙ্গু ওয়ার্ডের ব্যাবস্থা করতে হবে,সকল রোগীদের খাবারের মান আরো উন্নত করতে হবে, খুমেক হাসপাতালে বাথরুম সহ যে সকল স্থানে অপরিস্কার ও অপরিছন্ন সে স্থান গুলি পরিস্কার, পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে, হাসপাতালে ভিতর হতে সকল ভ্রাম্যমান বিভিন্ন পন্যর দোকান উচ্ছেদ করতে হবে, নিয়মিত পুলিশি পাহারার ব্যাবস্থা করতে হবে, হাসপাতালের গেটের মধ্যে ঢুকলে দেখা যায় বিভিন্ন মহিলা পুরুষ বসে আছে অবস্থা বুঝে রোগী ধরে যাদের হাতে অনেক সময় সবোর্স খোয়াতে হয়, এরা দালাল এদের হাত থেকে রোগীদের মুক্ত করতে হবে,হাসপাতালের মধ্যে ঢুকলে দেখা যায় গাড়ির কারখানার মত সারি সারি এম্বুলেন্স দাড়িয়ে আছে এদের সিন্ডিকেট ভেঙে সে গুলি যাতে বাহিরে থাকে তার ব্যাবস্থা করতে হবে, যে সকল কর্মকর্তা কর্মচারী ওষুধ পাচারের সাথে জড়িত তা চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নিতে হবে, দুর্নিতীর সাথে জড়িত তাদের চিহ্নিত করে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে, যেসকল কর্মকর্তা কর্মচারী সৎ এবং কাজের প্রতি আন্তরিক তাদের প্রমোশন দিয়ে পদায়ন করতে হবে,যে সকল আয়া,বুয়া বকশিসের নামে জুলুম করে তাদের চিহ্নিত করে আইনের ব্যাবস্থা করতে হবে, যে সকল ডা: টেস্ট কমিশন বানিজ্যর সাথে জড়িত তাদেরকে চিহ্নিত করে ব্যাবস্থা গ্রহণ করতে হবে, যে ডাক্তারগন খুমেকের চিকিৎসক কিন্তু বাহিরে রোগী দেখছেন তাদের ফি চারশত টাকা করতে হবে, অবৈধ কমিশন বানিজ্যর সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে ব্যাবস্থা নিতে হবে, সকল ডাক্তারদের প্রেসস্ক্রিশন লেখা পরিস্কার স্পষ্ট হতে হবে,রোগী ও ডাক্তারদের মধ্যে বৈষম্য থাকলে তা দুর করতে হবে।

এ সময় ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ও অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ বৃহত্তর আমরা খুলনাবাসীর কথা ধৈর্য সহকারে শোনেন এবং নেতৃবৃন্দকে আশ্বস্থ্য করে বলেন, গত ১৭ বছরের যনজালত একদিনে সরানো যাবে না,তবু আপনারা যে দাবি নি আসছেন আমরা এর সাথে সম্পুর্ন একমত।এবং আমরা খুব দ্রুতই খুমেক হাসপাতালের সব শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনবো আপনাদের কথা দিতে পারি।এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মেডিসিন বক্ষব্যাধী ও হ্নদরোগ বিভাগীয় প্রধান ডা: মোস্তফা কামাল, সহকারী পরিচালক নিয়াজ মুস্তাফি চৌধুরী।এ সময় বৃহত্তর আমরা খুলনাবাসীর সভাপতি মো: নাসির উদ্দিন, সৈয়দ মোসাদ্দেক হোসেন বাবলু,মো: কামরুল ইসলাম কামু,সাধারণ সম্পাদক এস এম মাহবুবুর রহমান খোকন,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো: কামরুল ইসলাম ভুট্রো, এম এ জলিল,সাংগঠনিক সসম্পাদক সাকিল মো: শাকিল আহমেদ রাজা,আব্দুর রাজ্জাক,কারী শরীফ মিজানুর রহমান, খালিশপুর থানার সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, মো: ইকবাল আহমেদ তোকা,আ: মান্নান মুনাফ,মো: জয়নাল আবেদিন, মো: মাহফুজুর রহমান বাচ্চু,মো: ইয়াহিয়া, মো: সবুজুল ইসলাম সবুজ,মো: মিকাঈল হোসেন,তৈয়বুর রহমান,মো: আবু বক্কর,মো: আজমল হোসেন প্রমুখ।

 
error: Content is protected !!