অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৪০ হাজার ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরাইলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে তেলআবিবে ইতিহাসের স্মরণকালের ভয়াবহ হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। হামলায় ১২০০ জন নিহত হয় এবং ২৫০ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায় হামাস।
হামাসের এ হামলার পর ইসরাইলি গোয়েন্দা বাহিনীর সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। শেষ পর্যন্ত দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তার আত্মমর্যাদা রক্ষার্থে গাজায় পালটা হামলার নির্দেশ দেন। সেই থেকে চলমান হামলায় গাজায় ভয়াবহ মানসিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি হামলায় ৪০ জন নিহত হয়েছেন। এর ফলে গাজায় নিহতের সংখ্যা ৪০ হাজার ৫ জনে পৌঁছেছে। এছাড়া আহতের সংখ্যা বেড়ে পৌঁছেছে ৯২ হাজার ৪০১-এ।
আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো জানিয়েছে, গাজায় নিহতদের অধিকাংশই বেসামরিক নাগরিক। এদের বড় অংশ নারী ও শিশু।
ইউরো-মেডিটারেনিয়ান হিউম্যান রাইটস মনিটর এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের হামলায় প্রায় ১৭ হাজার ফিলিস্তিনি শিশু নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে প্রায় ২ হাজার ১০০ জনই দুই বছরের কম বয়সি।
এদিকে ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইসরাইলিদের ভূমি দখল রোধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। ফিলিস্তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, ইসরাইলিরা অবৈধভাবে ভূমি দখল করে ভবন নির্মাণ করছে। অধিকৃত পশ্চিম তীরে তাদের দখলদারিত্ব ঠেকাতে আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ জরুরি।
এক বিবৃতিতে ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরাইলি বাহিনী একের পর এক ফিলিস্তিনিদের ভূমি দখল করে নিচ্ছে এবং জেরুজালেম থেকে এসব এলাকা পৃথক করার চেষ্টা করছে।
এ অবস্থায় ইসরাইলের এমন কর্মকাণ্ডকে রুখে দিতে এবং চলমান সমস্যা সমাধানে দুই রাষ্ট্র গঠনের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সূত্র: আল-জাজিরা
আমাদের নিউজ পোর্টালের যে কোন সংবাদ কপি করা দন্ডনীয় অপরাধ। আমরা সর্বদা সত্য ন্যায় সচ্ছতা ও সঠিক নিউজ প্রকাশে বদ্ধ পরিকর। দৈনিক যুগবাহক দেশের ও দেশের মানুষের সেবাই সর্বদা নিয়জিত।