জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে ইবির ৪৬ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
সুবংকর রায় (শুভ)
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস প্রতিনিধি:
জাঁকজমকপূর্ণ নানা বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে ইবির ৪৬ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন, আনন্দ র্যালি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে বেলা ১০ টায় কেন্দ্রীয় মাঠ প্রাঙ্গনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ডঃ নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিন কাউন্সিলের সভাপতি প্রফেসর ড. আ.ব.ম ছিদ্দিকুর রহমান, প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি অধ্যাপক মোঃ আব্দুল কালাম আজাদ এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ছাত্র উপদেষ্টা, প্রক্টর সহ অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইবির প্রধান সমন্বয়ক এস এম সুইট ও সাধারণ শিক্ষার্থিবৃন্দ।
এরপর শান্তি প্রতীক পায়রা উড়িয়ে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন কমিটির আহবায়ক প্রফেসর ডঃ মোঃ আলিনূর রহমানের নেতৃত্বে এক বিশাল আনন্দ র্যালি বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাসের প্রধান ফটক দিয়ে শহীদ জিয়াউর রহমান স্থাপিত ভিত্তি প্রস্তরে এসে শেষ হয। এ সময় ভিত্তি প্রস্তরে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ডঃ নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করেন। তারপর ভিসি মহোদয় সকল বিভাগের উদ্যোগে শিক্ষা ও গবেষণা প্রদর্শনী প্রদর্শন করেন এবং শিক্ষার্থীদের সাথে ভাব বিনিময় করেন।
বেলা ১২ টায় বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মোঃ আলিনূর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজনে স্বাগত বক্তব্যে হিসেবে প্রফেসর ড. আলীনূর রহমান প্রথমে জুলাই বিপ্লব শহীদদের স্মরণ করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ইতিহাস ও প্রেক্ষাপট সম্পর্কে বলেন। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। পরিশেষে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জ্ঞাপন করেন।
ইবি ভিসি প্রফেসর ডঃ নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি স্বাধীনতার মহান ঘোষক এবং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠা সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন এছাড়াও তিনি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন জুলাই বিপ্লবের সকল শহীদের প্রতি। তিনি বলেন বর্তমান সময়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় দেশে এবং বিদেশে প্রভূত সুনাম অর্জন করেছ। এ সুনাম অব্যাহত রাখতে বর্তমান প্রশাসন বিশ্বের নামিদামি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি সই করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় কে উন্নত শীর্ষে পৌঁছে দেওয়ার জন্য সকল শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা কামনা করেন। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়কে আন্তর্জাতিকীকরণ এবং শিক্ষার্থী বান্ধব গড়ে তোলার লক্ষ্যে ইবি পরিবারের সকলকে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, দেশের দক্ষিণ- পশ্চিমাঞ্চলের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৭৯ সালের ২২ নভেম্বর প্রতিষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান কুষ্টিয়া ঝিনাইদহ জেলার মধ্যবর্তী অবস্থান শান্তিডাঙ্গা-দুলালপুরে ইবি ক্যাম্পাসের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। পরবর্তীতে প্রেসিডেন্ট হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদ ঢাকার গাজীপুরের বোর্ড বাজারে ১৯৮৫-৮৬ইং শিক্ষাবর্ষে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করেন। বর্তমানে ১৭৫ একর জমির ভূখণ্ডে অবস্থিত ইবিতে রয়েছে ৮ টি অনুষদের ৩৬ টি বিভাগ, ১৮০০০ শিক্ষার্থী, ৮ টি হল এবং নির্মাণাধীন আরো ০৩ টি নির্মাণাধীন হল এছাড়াও রয়েছে বিদেশি শিক্ষার্থীরা। চাকরিজীবিদের জন্য রয়েছে সান্ধ্যকালীন বি.এ(অনার্স), এম.এ কোর্স। রেগুলার শিক্ষার্থীদের রয়েছে বি.এ(অনার্স), এম.এ, বি.এড, এম.এড, এম.ফিল, পিএইচ.ডি কোর্স।
আলোচনা শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা গান, নৃত্য, কবিতাসহ অন্যান্য উপস্থাপনা উপস্থাপন করা হয়। পরিশেষে, ইবির আগামীর পথ চলা মসৃণ ও সফল হোক সকলে এটাই প্রত্যাশা করে শিক্ষার্থীরা।
আমাদের নিউজ পোর্টালের যে কোন সংবাদ কপি করা দন্ডনীয় অপরাধ। আমরা সর্বদা সত্য ন্যায় সচ্ছতা ও সঠিক নিউজ প্রকাশে বদ্ধ পরিকর। দৈনিক যুগবাহক দেশের ও দেশের মানুষের সেবাই সর্বদা নিয়জিত।