জামালপুরে এমএ রশিদ হাসপাতাল ভাংচুর ঘটনায় ৫ জন গ্রেফতার

লেখক:
প্রকাশ: 21 hours ago

জামালপুর থেকে জাকিরুল ইসলাম বাবু

এম এ রশিদ (বেসরকারি) হাসপাতালে হামলা, ভাংচুর ও জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে ফাঁকা গুলিবর্ষণের চাঞ্চল্যকর ঘটনায় জড়িত এজাহার ভ’ক্ত ৫ জন আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার সকালে পুলিশ সুপার কার্যালয় প্রাঙ্গণে প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার সৈয়দ রফিকুল ইসলাম (পিপিএম সেবা) বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন।
এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পদোন্নতিপ্রাপ্ত এসপি) মো. মাসুদ আনোয়ার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোহেল রানা, ডিআইও-১ মোহাম্মদ রাশেদুল হাসান, ডিআইও-২ শফিকুল ইসলাম সম্রাটসহ পুলিশ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ সুপার জানান, গত ২৮ নভেম্বর বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টায় বেসরকারি এম এ রশিদ হাসপাতালের সামনে রাস্তা পারাপার নিয়ে হাসপাতালের কর্মকর্তা শীববীর আহাম্মদ ও মোঃ শাহীনের সাথে এম শুভ পাঠানের তর্কবিতর্ক হয়। এর জেরে এম শুভ পাঠান ও তার সহযোগীরা এম এ রশিদ হাসপাতালে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মারধর করে। এরপর গেইপাড়ে জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে হামলা, অস্ত্র প্রদর্শণ ও ফাঁক গুলি চালায় তারা। এছাড়াও শাহীনের বাড়ী ভাংচুর ও আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শন করে। এই ঘটনায় শীববীর আহাম্মদ ও মোঃ শাহীন বাদী হয়ে জামালপুর সদর থানায় আলাদা দুইটি মামলা দায়ের করেন। জামালপুর সদর থানা মামলা নং-৪৮ ও মামলা নং-৪৯, তারিখ- ৩০ নভেম্বর ২৪ইং।

তিনি আরও বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় পরবর্তীতে জেলা গোয়েন্দা শাখার পুলিশ ২৩ ডিসেম্বর রবিবার ডিএমপি ঢাকা গুলশান-২ এলাকার একটি আবাসিক হোটেল থেকে ৫ জন আসামীকে গ্রেফতার করেন।

গ্রেফতার কৃতরা হলেন জামালপুরের স্টেশন রোডের বাসিন্দা মৃত ওবায়দুল হাসান টিপু পাঠানের ছেলে এম শুভ পাঠান (৩৪), বসাক পাড়ার আবুল হাসেমের ছেলে মোঃ রিপন হোসেন রিদয় (২৫), চালাপড়ার মোঃ মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে মাসুম মিয়া (৩৩) ও ছেলে রাজু (২৫) এবং সন্দেহ ভাজন আসামী মোঃ ঝুটন মিয়া (৩৩)। আসামীদের বিজ্ঞ বিচারিক আদালতে সোপর্দ করা হবেং এবং ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হবে বলেন জানান পুলিশ সুপার।###

 
error: Content is protected !!