জামালপুরে পৌর এলাকায় বাসা বাড়ী নির্মানে কাজের প্ল্যান পাশে সরকারী নিয়মনীতির প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নিজের মন মতো নিয়ম চালু করেছিল শহর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক সাবেক মেয়র ছানোয়ার হোসেন ছানু।
জামালপুর পৌরসভার গেজেট অনুযায়ী প্রতি বর্গফুটের জন্য ১ টাকা ৫০ পয়সা কর সরকার নির্ধারিত মুল্য ১ টাকা ৫০ পয়সা হলেও নিয়ম বহির্ভুতভাবে আদায় করেছে প্রতি বর্গফুটে ৫ টাকা।
এদিকে প্ল্যান পাশে আবেদনের ফরম ২০০ টাকা মূল্যের পরিবর্তে আদায় করা হতো ১০ হাজার টাকা। প্রতি আবেদন ফরমেই ৯ হাজার ৮শত টাকা অতিরিক্ত আদায় করা হতো।
এছাড়াও পৌর এলাকার লাইটিং বাবদ আদায় করেছে ১৫ হাজার টাকা। এই টাকা পৌরসভার সরকারী কোষাগারে জমা হয়নি, ঢুকেছে সাবেক মানবিক মেয়র ছানুর পকেটে।
পৌর কবরস্থান রক্ষনাবেক্ষন বাবাদ ১৫ হাজার টাকা, পৌরসভায় মিটিং বাবদ ১০ হাজার টাকা, অন্যান্য বাবদ ২০ হাজার টাকা নিয়েছে বাড়ীর প্ল্যান পাস করতে আসা বাড়ী মালিকদের পকেট কেটে।
পৌর এলাকায় রাতের বেলায় সড়ক বাতিতে রাস্তাঘাটে আলো ও মৃত্যুর পর আসল ঠিকানা পৌর কবরস্থানের রক্ষনা বেক্ষনে পৌরবাসীর সেবা প্ল্যানপাস করতে পৌরভবনে যাওয়া বাড়ীর মালিকরা নাকি পৌরকর্তৃপক্ষ বহন করবে?
পৌর এলাকায় বাড়ী নির্মানের উদ্যোগ নেয়া ভুক্তভুগি বাড়ী মালিকদের পক্ষে পৌরবাসীর প্রশ্ন, জামালপুর পৌরসভায় পৌর এলাকায় বসবাসরত বাসিন্দাদের করের টাকায় ঘোষিত বাজেটে লাইটিং ও মিটিংয়ের খরচ বরাদ্ধ হয়েছিল কি? হয়ে থাকলে বাড়ীর প্যান পাস করতে যাওয়া পৌরবাসিন্দারা দিবে কেন? সেটা পৌরসভা পরিচালনা সরকারী নির্দেশনায় আছে কি?
নানা অপকর্ম ও অনিয়ম এ দূর্নীতির অভিযোগে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা পতনের পর পালিয়ে বেড়ানো জামালপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র ছানোয়ার হোসেন ছানুকে পৌরবাসীর সামনে জবাবদিহিতা করাতো দায়িত্ব নেয়ার আগে মেয়র পদে শপথে অঙ্গীকার করেছিলেন।
বাড়তি কর ও চাপিয়ে দেয়া মোটা চাঁদার চাপে জামালপুর পৌর এলাকায় বাসবাসরতদের মধ্যে পাকা ইমারতে বাড়ীর স্বপ্ন দেখা বাদ দিয়েছিল অসহায় পৌরবাসী।
বিগত মেয়রের অতিরিক্ত ধার্য কর বাতিল ও পৌর কবরস্থানে রক্ষনা বেক্ষনের নামে চাঁদাবাজির বিচার এবং বাড়িঘর নির্মাণের জন্য প্লেন নকশা অতি দ্রুত সময়ে সরবরাহ করার জন্য সময় নির্ধারণ করার
দাবি জানিয়েছে ভুক্তভুগি বাড়ী মালিকরা।
জামালপুর পৌরসভা প্রশাসকের দৃষ্টি কাননা করছি।
জামালপুর থেকে জাকিরুল ইসলাম বাবু