খন্দকার নিরব, ভোলাঃ
ভোলার তজুমদ্দিনে আওয়ামিলীগের নেতা কর্তৃক দখলকৃত জমি পুনরুদ্ধার করতে গিয়ে মারামারির ঘটনায় ২ জন আহত হয়েছে।
গতকাল বিকালে উপজেলার শম্ভুপুর ইউনিয়নের গোলকপুর গ্রামের আক্তারুজ্জামান হাওলাদার বাড়িতে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
থানায় দেয়া অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, শম্ভুপুর ৩ নং ওয়ার্ডের বিএনপি নেতা হান্নান হাওলাদার এর অধিনে গোলকপুর গ্রামের ইরি-বোরো ধানের একটি স্কীম ছিল। ২০১০ সালে শম্ভুপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুল্লাহ পাটোয়ারী তাহা জোরপূর্বক দখল করে নেন। ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর হান্নান হাওলাদার স্কীমের দখল ছেড়ে দেয়ার জন্য হাবিবুল্লাহ পাটওয়ারীকে অনুরোধ করেন। কিন্তু তিনি স্কীম না ছেড়ে দিয়ে কাজ শুরু করেন। এসময় হান্নান হাওলাদারের ভাই উপজেলা কৃষক দলের যুগ্ন সম্পাদক জুলফিকার আলী বাঁধা দিয়ে কাজ বন্ধ করে দেয়। এরপর হাবিবুল্লাহ পাটোয়ারী বাড়িতে গিয়ে তার ছেলে দেবীপুর সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার ছাত্রলীগ সভাপতি মোঃ রবিন সহ লোকজন ডেকে এনে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা করলে পুরো এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে। এসময় ধারালো ছুরির আঘাতে জুলফিকার আলীর ছেলে ছাত্রদল নেতা মোহাব্বত আলী (২৫) মারাত্মক জখম হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে তজুমদ্দিন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিকে হাবিবুল্লাহ পাটোয়ারীও হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ সুমন জানান, আওয়ামী লীগের নেতা হাবিবুল্লাহ পাটোয়ারী প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন মানুষকে হয়রানি ও লুটপাট করেছে এবং তার ছেলে রবিন দেশীয় অস্ত্র হাতে নিয়ে ফেসবুকে ছবি আপলোড করে ত্রাসের সৃষ্টি করেছে।
তজুমদ্দিন থানা ডিউটি অফিসার জানিয়েছেন, এ ঘটনায় জুলফিকার আলী বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এস আই আবু বকর সিদ্দিককে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তদন্ত শেষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।