নান্দিনা ব্রীজের নির্মাণকাজ দেখে বোঝা যায়, এটি চরবাসীর দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষার প্রতীক। প্রতিটি স্তরে তাদের আবেগ ও প্রত্যাশার ছোঁয়া লেগে আছে। নির্মাণ কাজ ধীরে ধীরে এগিয়ে চলেছে, আর এই স্বপ্নের ব্রীজটি শেষ হওয়ার আশায় সবাই দিন গুনছে।
ব্রীজটি নির্মাণ শেষ হলে লক্ষ্মীরচর, বারুয়ামারী এবং চরপাড়া গ্রামের মানুষদের যাতায়াত অনেক সহজ হয়ে যাবে। কাদা, জল আর দূরত্বের বাধা পেরিয়ে অবশেষে তারা সহজেই নিজেদের গ্রাম থেকে বাজার, স্কুল, হাসপাতাল এবং শহরের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে পারবে। এটি শুধুমাত্র যোগাযোগের একটি মাধ্যম নয়; এটি চরবাসীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের এক নতুন দুয়ার খুলে দেবে।
এই ব্রীজ নির্মাণের ফলে মানুষকে আর নৌকা বা অস্থায়ী বাঁশের সাঁকোর ওপর নির্ভর করতে হবে না। গ্রামের শিশুদের স্কুলে যাতায়াত আরও নিরাপদ ও সহজ হবে। অসুস্থ রোগীদের জরুরি সময়ে শহরে নিয়ে যাওয়াও সহজ হয়ে যাবে। ব্যবসা-বাণিজ্যের সুযোগ বাড়বে, যা পুরো এলাকার উন্নয়নে সাহায্য করবে।
নান্দিনা ব্রীজ যেন চরবাসীর জন্য এক নতুন জীবনের প্রতীক। আমরা আশা করি, দ্রুত এর নির্মাণ শেষ হবে এবং এটি চরবাসীর জীবনকে নতুন দিশা দেখাবে।
জামালপুর থেকে জাকিরুল ইসলাম বাবু