মাহতাব চৌধুরী, নোবিপ্রবি প্রতিনিধি
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) অনুষ্ঠিত হয়েছে নোবিপ্রবি রিসার্চ সেল আয়োজিত সাইন্টিফিক সেমিনার,যেখানে স্পিকার হিসেবে ছিলেন দেশ বরেণ্য চার বিজ্ঞানী।
২১ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) নোবিপ্রবির কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে “ট্রেন্ডস ইন কাটিং-এজ রিসার্চ ইন দ্যা ফিল্ড অব মেডিসিন এন্ড বায়োলজিক্যাল সাইন্স” শীর্ষক সাইন্টিফিক সেমিনার। উক্ত সাইন্টিফিক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নোবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নোবিপ্রবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রেজুয়ানুল হক, সভাপতি হিসেবে ছিলেন নোবিপ্রবি রিসার্চ সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, সঞ্চালনায় ছিলেন নোবিপ্রবির বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং (বিজিই) বিভাগের চেয়ারম্যান সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম।
স্পিকার হিসেবে ছিলেন দেশ বরেণ্য চার বিজ্ঞানী। তারা হলেন, ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম।যিনি একাধারে জাপানের সিজুওকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গেস্ট এসোসিয়েট প্রফেসর এবং নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ওহসুমী রিসার্চ গ্রুপের সদস্য। যুক্তরাষ্ট্রের ফুড এন্ড ড্রাগ এডমিনিস্ট্রেশনের গবেষক ড. ইয়াকুব জাকের। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োলজিকাল সাইন্স ফ্যাকাল্টির ডিন এবং ফেলো, বাংলাদেশ একাডেমি অফ সাইন্সেস অধ্যাপক ড. আতিয়ার রহমান। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সাইন্স ইউনিভার্সিটির (সিভাসু) প্যাথলজি এন্ড প্যারাসাইটোলজি ডিপার্টমেন্টের অধ্যাপক ড. এএমএএম জোনায়েদ সিদ্দিকী।
সাইন্টিফিক সেমিনারে অংশগ্রহণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থীরা। সেমিনারটি সমন্বয় করে নোবিপ্রবির বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকিউলার বায়োলজি বিভাগ৷
সেমিনারের সভাপতি অধ্যাপক ড. শফিকুল ইসলাম বলেন, ” আজকের সেমিনারটি রিসার্চ সেল, বিজিই বিভাগ এবং বিএমবি বিভাগ যৌথভাবে অর্গানাইজ করেছে। সেমিনারে যে কাটিং এজ টেকনোলজি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে,আমি আশা করি শিক্ষার্থীরা এতে ভবিষ্যতেও উপকৃত হবে এবং উচ্চ শিক্ষায়ও কাজে লাগাতে পারবে। রিসার্চ সেল থেকে আমরা এরকম সকল সাইন্টেফিক সেমিনারে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবো। আমরা আগামী বছরের জানুয়ারিতেও আরেকটি আন্তর্জাতিক মানের সেমিনারের প্রস্তুতি নিচ্ছি।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজুয়ানুক হক বলেন, ” বিশ্ববিদ্যালয় মানেই এখানে প্রতিনিয়তই সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, ওয়ার্কশপ হবে।এখানে প্রতিদিনই কিছু না কিছু হবে। যদি হয় তাহলে বুঝবো আমরা ট্রাকেই আছি। আমরা চেষ্টা করবো বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিবেশ যাতে এভাবেই থাকে। আজকে যে চারজন দেশ বরেণ্য বিজ্ঞানী এসেছেন তাঁদের জ্ঞানগর্ভ এবং গবেষণামূলক আলোচনা থেকে শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।