সংকটে থাকা ব্যাংকগুলো আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজার থেকে তারল্য সহায়তা পেতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গ্যারান্টি চেয়ে আবেদন করেছে। এখন পর্যন্ত পাঁচটি ব্যাংকে গ্যারান্টি দিতে চুক্তি সই করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এরপর ব্যাংকগুলো কী পরিমাণ তারল্য সহায়তা নিতে পারবে তা ঠিক করে দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক।
ব্যাংকগুলো হলো- ন্যাশনাল, সোশ্যাল ইসলামী, ফার্স্ট সিকিউরিটি, ইউনিয়ন ও গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক। এসব ব্যাংক এখন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গ্যারান্টিতে আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজার থেকে তারল্য সহায়তা পাবে। তবে বাকি ব্যাংকগুলোর বিষয়ে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সূত্র জানায়, গত সরকারের ১৫ বছরে ব্যাংক খাতে বড় ধরনের লুটপাট হয়েছে। এর মধ্যে এস আলম গ্রুপ ব্যাংক দখল করে নজিরবিহীন লুটপাট করেছে। ওই গ্রুপের দখল করা ব্যাংকগুলোর মধ্যে এখন পাঁচটি ব্যাংক তীব্র তারল্য সংকটে ভুগছে। এসব ব্যাংক আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজার থেকে ধার নিয়ে সময় মতো টাকা ফেরত দিতে পারছে না। এ কারণে এসব ব্যাংক এখন আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজার থেকে ধার পাচ্ছে না। ফলে তারা তারল্য সংকটও মেটাতে পারছে না। এ পরিপ্রেক্ষেতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ওই পাঁচ ব্যাংককে মুদ্রাবাজার থেকে বিশেষ ধার নিতে সহায়তা করছে। এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংক গ্যারান্টি দিচ্ছে তাদের মুদ্রাবাজার থেকে ধার নেওয়ার ব্যবস্থা চালু করেছে। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার ন্যাশনাল ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। রোববার সোশ্যাল ইসলামী, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী, ইউনিয়ন ও গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা জানান, যেসব ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে তারা এখন আন্তঃব্যাংক বাজার থেকে তহবিল সংগ্রহ করে তাদের পর্ষদের অনুমোদন নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে গ্যারান্টির জন্য পাঠাবে। এরপর কেন্দ্রীয় ব্যাংক গ্যারান্টির আওতায় কোন ব্যাংক কত টাকা নিতে পারবে তা বিবেচনা করে অনুমতি দেবে। এর ভিত্তিতে ব্যাংকগুলো মুদ্রাবাজার থেকে ধার নিতে পারবে।