শুভজিৎ সরকার: বগুড়া জেলা প্রতিনিধি:
বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজ ক্যাম্পাসে গত ২৩শে নভেম্বর দর্শন বিভাগের আয়োজিত কনসার্টকে কেন্দ্র করে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন অনৈতিক কার্যক্রম এবং হত্যাকান্ডের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ।
সোমবার(২৫ শে নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সরকার আজিজুল হক কলেজ ক্যাম্পাসে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বিক্ষোভকারীরা দর্শন বিভাগের আয়োজক কমিটিসহ অধ্যক্ষের পদত্যাগ চেয়ে ১১ দফা দাবি করেন। উক্ত সমাবেশটিতে পাঁচ শতাধিক সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা অংশ নেয়।
এ সময় তারা বলেন, সরকারি আজিজুল হক কলেজ ক্যাম্পাসে দর্শন বিভাগের পূর্ণ মিলন মেলা উপলক্ষ্যে কনসার্টের নামে অপসংস্কৃতি, অশ্লীলতা, মাদক, খুন ও নারীদের যৌন হয়রানি করা হয়েছে। এছাড়াও আযান ও নামাজ চলাকালীন সময় কনসার্ট বন্ধ না করে ইসলাম ধর্মের প্রতি অবমাননার করেছেন বলে দাবি সাধারণ শিক্ষার্থীদের।
উক্ত, কনসার্টের নামে অপসংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত শিক্ষক শিক্ষার্থীদের অপসরণসহ ১১ দফা দাবি করেন বিক্ষোভকারীরা।
বিক্ষোভকারীদের ১১ দফার মধ্যে রয়েছে, দর্শন বিভাগের যারা এই কনসার্টের আয়োজন করেছে তাদের ক্যাম্পাসে অবাঞ্চিত ঘোষণা, দর্শন বিভাগীয় প্রধান নুরুল আমিনসহ শিক্ষক সোলাইমান, ফিরোজ মিয়া এবং শিক্ষক পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক তহিদুল আলম চৌধুরী সনিকে আজীবনের জন্য চাকুরীচ্যুত করতে হবে,পুরো ক্যাম্পাস সিসিটিভি আয়তাধীন, পুরো ক্যাম্পাসে লাইট এর ব্যবস্থা, ক্যাম্পাসে ধূমপান নিষিদ্ধ এবং ছেলে-মেয়েদের অবাধ মেলামেশা বন্ধন দাবি জানান তারা।
এছাড়াও তারা বলেন, তাদের দাবি যদি না মানা হয়,তাহলে আগামীতে আরো কঠোর কর্মসূচি দিবেন বলে জানান তারা।
উল্লেখ্য, গত ২৩ নভেম্বর বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজে দর্শন বিভাগের পূর্ণ মিলন মেলা উপলক্ষ্যে একটি কনসার্টের আয়োজন করা হয়। এতে অংশ নেয় দেশের জনপ্রিয় ব্যান্ড অ্যাসেজ। এ সময় কনসার্ট দেখতে আসেন অ্যাসেজের লাখো ভক্ত।
কনসার্ট চলাকালীন সময় ছেলে মেয়েদের অভাব মেলামেশ, অপসংস্কৃতি, অশ্লীলতা, মাদক গ্রহণ ও নারীদের যৌন হয়রানি করতেও দেখা যায়। এছাড়াও রাত পৌণে ৯টার দিকে কলেজের ভেতর কনসার্টে দেখতে এসে ছুরিকাঘাতে হত্যার শিকার হয় মেহেদী হাসান নামের এক যুবক।
মূলত, এই হত্যাকাণ্ডের পর পরই বিভিন্ন তোপের মুখে পড়েন কনসার্ট আয়োজক কমিটিসহ কলেজ প্রশাসন।এছাড়াও বিভিন্ন মহল থেকে উঠতে থাকে নিন্দার ঝড়।
এদিকে সুশীল সমাজের ব্যক্তিরা বলেন , এসব অপ্রীতিকর ঘটনার জন্য কলেজ প্রশাসনই দায়ী।
এসব অপ্রীতিকর ঘটনার প্রতিবাদে এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনা যাতে না ঘটে তারই লক্ষ্যে সাধারণ সচেতন শিক্ষার্থীদের এ বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ।