বিভাগীয় পাসপোর্ট রাজশাহী অফিসের দুর্নীতির বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীদের মানববন্ধন

লেখক:
প্রকাশ: 1 month ago

 

মোঃ শাকিল আহামাদ জেলা প্রতিনিধি রাজশাহী

রাজশাহী বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস এ দালালদের মাধ্যমে জমা দেওয়া ফাইলের কাজ আগে করার প্রতিবাদে মানববন্ধন করা হয়েছে।
বুধবার ২০ নভেম্বর সকাল ১১ টায় নগরীর শালবাগান এলাকায় বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসের সামনে ‘ভুক্তভোগী রাজশাহীর সাধারণ জনগণ’–এর ব্যানারে এ মানববন্ধন করা হয়। বেশ কিছু দিন ধরে চলতে থাকা এমন অনিয়মের প্রতিবাদে রাস্তায় প্রতিবাদ করেন রাজশাহীর নাগরিক সমাজ। সকাল ১১ টা থেকে ঘন্টাব্যাপী চলা কর্মসূচিতে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের নানা অনিময়-দুর্নীতি তুলে ধরেন বক্তারা , তারা বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারি অনেক অফিসে ঘুষ-দুর্নীতি বন্ধ হলেও রাজশাহী পাসপোর্ট অফিসে এখনো ঘুষ ছাড়া কোনো ফাইল নড়ে না। দালাল না ধরলে পাসপোর্ট হয় না। নানা অজুহাতে হয়রানি করা হয়। মানুষকে জিম্মি করে অর্থ আদায় করা হয়। এর পেছনে পাসপোর্ট অফিসের চক্র জড়িত। তারা কৌশলে সেবাগ্রহীতাদের হয়রানি করতে থাকে নানা ভুল ধরে। এতে বাধ্য হয়ে সাধারণ মানুষ দালালদের কাছে যান। আর দালালরা সেই সুযোগে পাসপোর্ট প্রতি দেড়-দুই হাজার টাকা করে হাতিয়ে নিচ্ছে ,আরো বলেন প্রতিদিন ৩ থেকে ৫ লক্ষ্য টাকা অবৈধ লেনদেন হয়।ভুক্তভোগীরা বলছেন, আমরা সাধারণ মানুষ আমাদের পাসপোর্টের কাজ করতে এসে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকি ঘণ্টার পর ঘণ্টা। কিন্তু দালালের মাধ্যমে যেসব ফাইল উপরে যায় সেগুলোর কাজই তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে তারা বাড়ি ফিরে যায়। । হবে।মানববন্ধনে বক্তব্য দেন সামাজিক সংগঠন রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাত খান, সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) জেলার সম্পাদক মাহমুদুল হক,ক্যাবের রাজশাহীর সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, নারীনেত্রী , সেলিনা বেগম, রোজি নাজনীন সহ অনেকে।মানববন্ধনে বক্তারা বলেন,দালালের মাধ্যমে আসা পাসপোর্ট ফাইলগুলো সরাসরি দোতলায় উপপরিচালক রোজী খন্দকারের কক্ষে চলে যায়। তিনি সাথে সাথে এসব ফাইলে সই করে দেন। তারপর সহকারী পরিচালক এসব ফাইল কম্পিউটারে এন্ট্রি করেন এবং দ্রুত ফাইলগুলো নিচ তলায় চলে আসে। সেখানে ছবি তুলে পাসপোর্ট প্রত্যাশীরা বাড়ি ফিরে যান। আর যাঁরা দালালকে অতিরিক্ত টাকা না দিয়ে নিজেরাই এসে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকেন,তাঁদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা নিচতলায় লম্বা লাইনে দাঁড়িয়েই থাকতে হয়। ফলে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষকে দুর্ভোগে পরতে হয়। এসব বিষয়ে উপপরিচালক মিথ্যা ও গুজব বলে আখ্যায়িত করেন ।পরে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা অনিয়ম দূর করতে এক মাসের সময় বেঁধে দিয়েছেন।এই সময়ের মধ্যে সকল সাধারণ মানুষের ভোগান্তি দূর করা না হলে বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হবে।

 
error: Content is protected !!