ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা শনাক্ত হলে রাষ্ট্রের সঙ্গে প্রতারণার দায়ে তাদের শাস্তি পেতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বীর প্রতীক।
এক প্রশ্নে ফারুক-ই-আজম বলেন, মুক্তিযোদ্ধা তালিকা প্রথমে আমরা যাচাই করে দেখছি যে বাস্তবিক অর্থে ঘটনাটা কী হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা নানা আঙ্গিকে হয়েছে, নানাভাবেও হয়েছে। মন্ত্রণালয়েরও যারা এক্ষেত্রে কাজ করেন তাদেরও এ বিষয়ে নেতিবাচক একটি বিষয় ইম্পোজ করা আছে। সে সমস্যাগুলোকে আমরা যাচাই-বাছাই করে যাদেরকে সত্যিকার পাব তারা থাকবে এবং যাদেরকে পাব না তাদেরকে চলে যেতে হবে। প্রতারণার দায়ে তাদের অনেককে রাষ্ট্রের ক্ষেত্রে প্রতারণার জন্য শাস্তিও পেতে হবে।
তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের ব্যাপারটা কোটা সংস্কার আন্দোলনে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে বড় ধরনের ইস্যু হয়ে আসছে। এটার বস্তুনিষ্ঠতা কী, সেটা মন্ত্রণালয়কে যাচাই করতে দিয়েছি এবং কাজ চলছে। কী পরিমাণ মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের চাকরি কোটার মধ্যে হয়েছে এবং মুক্তিযোদ্ধারা কী অবস্থায় আছেন সংখ্যাগতভাবে এবং কারা কারা মুক্তিযোদ্ধা হয়েছেন, এ সমস্ত কিছু আমরা জনসাধারণের কাছে উন্মুক্ত করে দেব।
তিনদিনের সফরে চট্টগ্রামে আসা ফারুক-ই আজম বৈঠক শেষে নগরীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কোতোয়ালী থানা পরিদর্শন করেন।
তিনি থানায় পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন এবং পুড়ে যাওয়া থানার বিভিন্ন কক্ষ পরিদর্শন করেন।
এ সময় চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান ও চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ কমিশনার সাইফুল ইসলামসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।