জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন চলাকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কোন বৈঠক হবে কী-না সে বিষয়ে এখনো কোন সিদ্ধান্ত হয়নি।
রোববার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। সেপ্টেম্বরের শেষে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। খবর বিবিসি বাংলার।
অধিবেশন চলাকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মি. মোদীর সঙ্গে অধ্যাপক ইউনূসের মধ্যে বৈঠকের ব্যাপারে বাংলাদেশ এবং ভারতের গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের প্রেক্ষাপটে ওই মন্তব্য করেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
ওইসব খবরে বলা হয়েছে, বৈঠকের জন্য বাংলাদেশ প্রস্তাব দিলেও নয়াদিল্লি এখনো তা নিশ্চিত করেনি।
তৌহিদ হোসেন বলেন, এটা আমি এখুনি কিছু বলতে চাই না। কারণ আমাদের কাছে কোনো কনফার্মেশন নাই যে (বৈঠক) হচ্ছে অথবা হচ্ছে না। বস্তুত মোদী যে যাচ্ছেন এটার একশো পারসেন্ট নিশ্চয়তা আমরা এখনো পর্যন্ত পাইনি। একটা সম্ভাবনা আছে যে উনি যাবেন।
বাংলাদেশ বৈঠকের জন্য উদ্যোগ নিয়েছিল কী-না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটার একটা পদ্ধতি আছে। সে অনুযায়ী আমরা এগোবো। এটা এমন না যে একমাস আগে আমরা বলে রাখি, আমরা দেখা করতে চাই তোমাদের সাথে। এটা নরমাল যে সিস্টেম আছে সে অনুযায়ী আগাবে। বিষয়টা হলো তারা যদি চায় যে আমাদের সাথে দেখা করবে না, আমাদের তো জোর করে দেখা করার কিছু নেই।
শেখ হাসিনাকে ভারত রাজনৈতিক আশ্রয় দিতে পারে, এমন সম্ভাবনার বিষয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেছেন, স্বাভাবিকভাবে যে কোন দেশ যে কাউকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিতে পারে। দেওয়া উচিত কিনা এক্ষেত্রে সেটা হলো দেখার বিষয়, সেটা আমরা দেখবো।
এদিকে, রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মি. হোসেন বলেছেন, আমরা খুব স্পষ্টভাবে বলেছি, আর একজন রোহিঙ্গাকেও আশ্রয় দিতে রাজি না। কিন্তু কিছু ঢুকে যাচ্ছে, এটা আমরা জানি। সেটাকে যতটুকু পারা যায় ঠেকানোর চেষ্টা করছে। বিজিবি প্রতিদিনই পুশব্যাক করছে। একটা বড়সড় এলাকা নিয়ে তারা বিভিন্ন জায়গা দিয়ে ঢুকছে।
তিনি বলেন, ইউএনএইচসিআর চায় আমরা আশ্রয় দেই। আমরা ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছি, যতটুকু ভূমিকা পালন করার তার চেয়ে বেশি করেছি। আমাদের পক্ষে আর সম্ভব না। যারা আমাদের উপদেশ দিতে চায় বা আসে তারা বরং তাদেরকে নিয়ে যাক, এটা আমাদের বক্তব্য।