রাজশাহী প্রতিনিধি মো.সাকীল:
রাজশাহী জেলার পবা থানার নাওহাঁটা পুঠিয়াপাড়া এলাকায় বাক্কার আলী (৪০) তার চাচা শাহেদ আলীর ৩.৫ শতক জমি জোরপূর্বক দখলের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শাহেদ আলীর স্ত্রী বলেন ১০ ডিসেম্বর সকালে বাক্কার ও ১০-১২ জন লোক এবং সাথে আমিন এনে জমি মাপামাপি করার প্রক্রিয়া করে। পরে আমিন কাগজ গুলো দেখার পরে বলে যে এই কাগজে শাহেদ আলীর নাম আছে, বাক্কার নামে কোন এ কাগজে নাম নেই পরবর্তীতে শাহেদ আলীর ছেলে প্রশাসনকে কল করলে তারা স্থান ত্যাগ করে চলে যায়। শাহেদ আল এর স্ত্রী আরো বলেন আজ সকালে তারা আমার স্বামীকে মারধর করেছে এবং তাকে মেরে ফেলার জন্য তার উপর আক্রমণ করেছে। তিনি আরো বলেন স্থানীয়রা যদি তাদেরকে প্রতিহত না করত তাহলে আজ আমার স্বামীকে পেতাম না। তিনি এর সুষ্ঠু বিচার চান।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, বাক্কার আলী মোঃ শাহেদ আলীর ভাইয়ের ছেলে তার বাসা নওহাটা পৌরসভার পুঠিয়াপাড়া এলাকায়। তিনি গত ৫ আগস্ট এর পরে তার নিজ চাচা শাহেদ আলীর জমি ১৭ শতকের মধ্যে ৩.৫ শতক জমি দখল করার চেষ্টা করে এবং নানা রকম ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে।
গত ২৫ আগস্ট ২০২৪ ইং তারিখে বাক্কার আলী তার চাচা শাহেদ আলীর জমি দখল নিতে আসে, জমির মালিক শাহেদ আলীর ছেলেরা বাধা দিতে আসলে তাদেরকে বাক্কার আলী ও তার দলবল এলোপাথাড়ি রড শাবল লাঠি সোটা ইত্যাদি নিয়ে তার দুই ছেলের হাত পা ভেঙ্গে দেয় ।
জমির মালিক শাহেদ আলী বলেন, গত ০৭/০৮/২০২৪ ইং তারিখে আমি নওহাটা বাজার হইতে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে আনসার ক্যাম্প এর সামনে বাক্কার আলী ও বাক্কার আলী আরো ৬-৭ জন আমার পথ রোধ করে আমাকে আমার জমি দখলের হুমকি ও প্রাননাশের ভীতি প্রদর্শন করে। উক্ত ঘটনার সাক্ষী ১। মোসাঃ মায়া বেগম (৪০), স্বামী- শরিফুল ইসলাম, ২। মোঃ আব্বাস (৭৫), পিতা- মৃতঃ ওইহিদ, উভয় সাং- মধ্য পৃঠিয়াপাড়া, থানা-পবা, আরএমপি, রাজশাহীসহ স্থানীয় আরও অনেকে জানেন ও শুনেন। শাহেদ আলী আরো বলেন যে তাদের কাছে কোন দলিল নেই এই জমির খাজনা খারিজ আমি শাহেদ আলী দিয়ে থাকি। তারা কিসের বলে আমার সাড়ে তিন শতক জমি দখল করতে আসছে তা জানা নেই।
শাহেদ আলীর বড় ছেলে বলেন, এই জমিকে নিয়ে আমাকে আমার চাচাতো ভাই বাক্কার এবং তার কিছু সংখ্যক লোকজন গত ৫ আগস্টের পর থেকে নানা রকম ভয়-ভীতি হুমকি দেখি আসছে তার কারণে আমি আজ পর্যন্ত বাসায় যেতে পারিনি। তিনি আরো বলেন এ বাক্কার আলী একটি জাল দলিল তৈরি করে সে জাল দলিলের ক্ষমতা বলে আমাদের জমি দখল করার চেষ্টা করছে।
স্থানীয় দুইজন মহিলা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তারা বলেন আমরা জেনে আসছি এই জমি শাহেদ আলির কিন্তু গত পাঁচে আগস্ট এর পরে শুনছি এই জমির কিছু অংশ বাক্কার আলীর তারা বলেন আমরা কাগজ পাতি দেখে নিই কিন্তু জমি মাপার জন্য যাকে নিয়ে আসা হয়েছিল তিনি বলেন এই কাগজ শাহেদ আলীর।
এ ব্যাপারে সাংবাদিকরা বাক্কার আলীর সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি কোন কথা না বলে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে পালিয়ে যান।