মোঃ শাকিল আহামাদ জেলা প্রতিনিধি রাজশাহী
রাজশাহী মোহনপুর কেশরহাটের দোকানঘর পৈত্রিক সূত্রে বৈধ ভোগদখলীয় অবমুক্ত করণে রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার শরণাপন্ন হয়েছেন বোয়ালিয়া থানাধীন রাণীবাজার মুন্সিডাঙ্গার মৃত মোহাম্মাদ আলীর ছেলে মো. আতাউর রহমান। গত বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) আবেদন করেন মালিক পক্ষ। বর্তমানে জোরপূর্বক দখলে নেওয়া ভাড়াটিয়া মোহনপুরের কেশরহাট পৌরসভার বাকশৈল গ্রামের মৃত রহমতুল্লাহের ছেলে মোঃ রবিউল ইসলাম।
এ বিষয়ে অভিযোগ কারী আতাউর রহমান বলেন, আমার বাবার কেশরহাট পুরাতন ধানহাটার পার্শ্বে বৈধ ও ভোগদখলীয় দোকানঘর আছে। যা ব্যবসার জন্য মো. রবিউল ইসলামের কাছে ২০০৪ সালে মার্চ মাসে ভাড়া দেই। যা ১৫০/- টাকা স্ট্যাম্পে লিখা- পড়া করা আছে। কিন্তু ২০০৬ সালে পূর্বে ভাড়া দেওয়ার পর এক পর্যায়ে রবিউল মাসিক ঘর ভাড়া দেওয়া বন্ধ করে দেয়। এমন অবস্থায় সে দোকানঘর নিজের বলে দাবি করে।
তিনি আরও বলেন যে, রবিউল বিগত সরকারি দল আওয়ামী লীগের এক প্রভাবশালি নেতার ছত্রছায়ায় দোকানঘর গুলো দখল করে নেয়। উক্ত সময় দোকান ঘরের ভাড়া চাইতে গেলে আমাদের কে মারধর ও প্রাণ নাশের হুমকি দিয়েছিলো। নিজেদের প্রাণের মায়া করে কিছু বলতে পারিনি। তাদের কোন চুক্তিনামা নাই, তাদের কিছু বলা যেতো না ওরা স্থানীয় হওয়ায়। এরপর এই ব্যাপারে কেশরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়রকে অবহিত করলে তিনি আমাদের পক্ষে রায় দিলেও ঘরগুলি দখলমুক্ত করা সম্ভব হয়নি। এইজন্য হাট কমিটি ও মোহনপুর উপজেলা কর্মকর্তার শরণাপন্ন হয়েছি বলে এ প্রতিবেদক কে জানান আতাউর।
এই বিষয় স্থানীয় লোকদের কাছে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধীক ব্যাক্তি বলেন যে এই রবিউল শুধু আতাউর দের জমি না অনেক জমি ভাড়া নেওয়ার নাম করে নিজের দখল করে নিয়েছে, আমার জানি যে আতাউরের পিতা মোহাম্মদ আলীর কাছ থেকে সে ব্যবসা ব্যপারে জায়গায় ভাড়া নেয়, ২০০৪ সালে কিন্তু এখন শুনছি যে এই জমি নাকি সে কিনে নিয়েছে কিন্তু আমাদের জানামতে এই জমি বিক্রয় করেনি।
এই বিষয় কেশরহাট কমিটি সাধারণ সম্পাদকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন যে আমাদের কাছে মোহাম্মদ আলীর ছেলে অভিযোগ জানিয়েছে আমরা এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটা অভিযোগ করতে বলেছি। অতঃরপর আমাদের নিকট দোকানঘর বিষয় জানতে চাইলে সহযোগিতা করবো।
এবিষয়ে দখলকারী রবিউল ইসলাম বলেন যে আমি ভাড়া নিয়েছিলাম কিন্তু পরে মোহাম্মদ আলী আমার কাছে বিক্রয় করেছে। দোকানঘরের চুক্তি নামা দেখতে চাইলে পরে দেখাবেন বলে জানায়।
পরবর্তীতে মুঠোফোনে জানতে চাইলে দোকানঘরের চুক্তি নামা দেখাবেন না বলে জানায়, আমার কাছে দলিল আছে,আপনারা নিউজ করেন আমার সমস্যা নেই।
মোহনপুর উপজেলা কর্মকর্তা বলেন যে আমি এই বিষয় অভিযোগ পেয়েছি অভিযোগ পত্রটি সহকারী কমিশনার (ভুমি) নিকট পাঠিয়েছি তিনি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নিবেন।
মোহনপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন অভিযোগ পত্রটি পেয়েছি, আবেদন পত্রটি নথি জাত করিবো। অভিযোগ পত্রের বাদি ও বি’বাদীর নিকট নোটিস করেছেন কি না জানতে চাইলে নোটিশ দেওয়ার প্রয়োজন নেই। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে অভিযোগ পত্রটি প্রতিবেদনের দিবেন কী না জানতে চাইলে উত্তর বলেন যে প্রয়োজন নেই।
তিনি আরও বলেন কেশরহাটের দোকানঘর গুলো কোনো মালিকানা নেই। এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না, আদালতে মামলা দেওয়ার জন্য বলেন।