মোঃ রবিউল হোসেন খান : খুলনা: শিক্ষার্থীদের “মবের” মুখে খুলনা চেম্বার অব কমার্সের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শরীফ আতিয়ার রহমান পদত্যাগ করেছেন। চেম্বার সচিবালয় ঘেরাও এবং উদ্ভুদ পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের তৈরি মব নিয়ন্ত্রনে তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দেন।পদত্যাগ পত্রে তিনি উল্লেখ করেন, পরিচালনা পর্ষদের সব পরিচালকের পক্ষে থেকে আমি পদত্যাগ করেছি।সবার পক্ষ থেকে একজন পদত্যাগ করলে সব পরিচালকের পদত্যাগ কার্যকর হওয়া এবং ভারপ্রাপ্ত সভাপতির এমন পদত্যাগ পরিচালনা পর্ষদ বিলুপ্তি হয়ে যাবে, এমন ধারা চেম্বার অব কমার্সের গঠনতন্ত্রে নেই।তবে চেম্বারের অন্য কোন পরিচালক এ নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি। চেম্বারের সচিব নুর রুখসানা বানু জানান,বেলা ১২ টার দিকে কিছু শিক্ষার্থী চেম্বার সচিবালয়ে অবস্থান নিয়ে কমিটি ভেঙে দেওয়ার দাবি জানাতে থাকেন।কিন্তু কর্মচারীদের পরিচালনা পর্ষদ বিলুপ্তির ক্ষমতা নেই, জানালে ও তারা মানছিলেন না।দুপুর ২ টার দিকে ভারপ্রাপ্ত পরিচালক শরীফ আতিয়ার রহমান চেম্বার সচিবালয়ে আসেন।তখন তিনি শিক্ষার্থীদের নিয়ে বৈঠক করেন। খুলনা চেম্বার অব কমার্সের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শরীফ আতিয়ার রহমান বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিয়ে সবার পক্ষ থেকে আমি পদত্যাগ করেছি।পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়েছি। এদিকে ব্যাবসায়ীরা জানান, গত ১৫ বছর খুলনা চেম্বারের সভাপতি ছিলেন খুলনা মহানগর আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি কাজী আমিনুল হক।পরিচালনা পর্ষদে আওয়ামী সমর্থিত ব্যাবসায়ীর সংখ্যা বেশি ছিল। গত জুলাই মাসে চিকিৎসার জন্য কাজী আমিনুল হক থাইল্যান্ডে যান।৫ আগষ্টের পর তিনি আর ফিরে আসেন নি। তার অবর্তমানে সিনিয়র সহ সভাপতি শরীফ আতিয়ার রহমানকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়।গত ৪ মাস বিএনপি সমর্থিত পরিচালকরা চেম্বার পরিচালনা করছিলেন।