জহুরুল ইসলাম জপি শেরপুর জেলা প্রতিনিধি
শেরপুর শহরের খরমপুর এলাকায় ১৯৮৬ সালে ডাঃ সেকান্দর আলী কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। এ কলেজ উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন সরকারি বেসরকারী অনুদান বরাদ্দ হয় যা দিয়ে কলেজের বিভিন্ন উন্নয়ন হয়। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে গ্রামীন অবকাঠামো সংস্কার (কাবিটা) কর্মসূচীর আওতায় ৩য় ও ৪র্থ পর্যায়ে মোট ১,০৩৩,৬৫,০০ এক কোটি তেত্রিশ লক্ষ পয়ষট্টি হাজার টাকা বারাদ্দ পায় তৎকালিন শেরপুর -১ আসনের সংসদ সদস্য ছানোয়ার হোসেন ছানু। এ বারাদ্দ ডাঃ সেকান্দর আলী কলেজ সহ পাঁচটি কলেজে এবং কয়েকটি স্কুল ও মাদ্রাসার উন্নয়নের জন্য অনুদান দেওয়া হয়। এ সমর শেরপুর ডাঃ সেকান্দর আলী কলেজে মাঠে মাটি ভরাটের জন্য মোট ২০,০০,০০০ (বিশ লক্ষ টাকা) বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তুু কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ শামছুল আলম কলেজের উন্নয়নের জন্য এ টাকা ব্যায় করেন নি বলে অভিযোগ উঠেছে। এ প্রকল্পের ব্যাপারে কলেজের কমিটি বা কলেজের শিক্ষকবৃন্দ কেউ অবগত নন। যদিও কলেজে কোন অনুদান আসলে তা রেজুলেশনের মাধ্যমে একটি প্রকল্প কমিটি গঠন করে তার বাস্তবায়ন করা হয়, এখানে তা করা হয়নি। এখানে তথ্য সংগ্রহ করার জন্য ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃশামসুল আলম এর কাছে প্রকল্পের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি জানান তখন আমি অপারগ ছিলাম তৎকালিন শেরপুর -১ আসনের সংসদ সদস্য ছানুয়ার হোসেন ছানু রাতের বেলা কয়েক গাড়ী মাটি ফেলেছে তারপর সে আমার ব্যাক্তিগত ব্যাংক হিসাবে ১০ লক্ষ টাকা করে দুই বারে ২০ লক্ষ টাকা উত্তলন করে। এখানে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ শামসুল আলমকে প্রশ্ন করা হয় যে এ প্রকল্পের টাকা আসবে কলেজের ব্যাংক একাউন্টে আপনার ব্যাক্তিগত একাউন্টে কিভাবে আসলো। সে ক্ষেত্রে সে কোন উত্তর দিতে পারেননি। এ ব্যাপারে পি আই ও অফিসে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ খবিরুজ্জামান জানায় সেখান থেকে অধ্যক্ষ মোঃশামসুল আলম তার নিজ ব্যাক্তি গত একাউন্টের নামে সাক্ষর করে চেক দুইটি সে গ্রহন করেছে। মোঃ রফিকুল আলম সহকারি অধ্যাপক আইসিটি ডাঃ সেকান্দর আলী কলেজ, বলেন এ বরাদ্দ আসার পর ১০- ১৫ গাড়ী মাটি কলেজ প্রাঙ্গনে ফেলা হয়েছে তবে আমরা এ বরাদ্দের ব্যাপারে কিছুই জানি না । ডাঃ সেকান্দর আলী কলেজের প্রভাষক মোঃ সারোয়ার মোর্শেদ বলেন আমি শুনেছি আমাদের কলেজে মাটি ভরাটের জন্য ২০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ এসেছিল তবে এখানে খুব বেশি হলে ১০-১২ গাড়ী মাটি ফেলানো হয়েছে তবে এ ১০-১২ গাড়ীর মাটির দাম সর্বোচ্চ ৪০ হাজার টাকা হতে পারে তবে কোন ভাবেই ২০ লক্ষ টাকা হতে পারেনা। এ মাটি ভরাটের সম্পূর্ন টাকা গোপনে আত্মসাৎ করা হয়েছে। ডাঃ সেকান্দর আলী কলেজের হিসাব শাখায় এ টাকার ব্যাপারে জানতে চাইলে হিসাব রক্ষক বলেন এ টাকা আমাদের কলেজ একাউন্টে আসে নাই এ টাকার ব্যাপারে আমি কিছু জানি না। শিক্ষক প্রতিনিধি শফিউল আলম চান বলেন আমরা দেখেছি এখানে ১০-১২ ট্রাক মাটি ফেলানো হয়েছে তবে কত টাকা বরাদ্দ এটা আমাদেরকে জানানো হয়নি। আমি শুনেছি আমাকে প্রকল্পের কমিটিতে রাখা হয়েছে তবে আমি কোন রেজুলেশন খাতায় সাক্ষর করিনি। এ ব্যাপারে ডাঃ সেকান্দর আলী কলেজের বর্তমান সভাপতি প্রভাষক মামুনুর রশিদ মুঠোফোনে জানান ,আমি কিছু দিন হয় ডাঃসেকান্দর আলী কলেজের সভাপতি হয়েছি, যারা ফ্যাসিস্ট সরকারের সাথে আতাত করে এই কলেজের অর্থ আত্মসাৎ করেছে তাদের বিরুদ্দে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।