মোঃ রবিউল হোসেন খান : খুলনা ব্যুরো: হুজি শহীদ হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে সাবেক কাউন্সিলর টিপকে খুন করা হয়েছে। এ হত্যার ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হুজি শহীদ হত্যার প্রতিশোধ নিতেই তার ভাতিজা শেখ শাহরিয়ার ইসলাম পাপ্পু গুলি করে হত্যা করেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক অপসারিত কাউন্সিলর গোলাম রব্বানি টিপুকে।এ হত্যাকান্ডে ঋতু নামে( ২৪) বছর বয়সী এক নারীকে ” ফাঁদ ” হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল।গত ৯ জানুয়ারী কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের হোটেল সিগাল পয়েন্টে গোলাম রব্বানি টিপু হত্যার ঘটনায় মঙ্গলবার মৌলভীবাজার থেকে তিন জনকে গ্রেফতারের পর খুনের কারন হিসেবে এ তথ্য জানায় পুলিশ। গ্রেফতার ৩ জন হলেন খুলনার দেয়ানা মোল্লা পাড়ার মো: সেলিম আকন্দের মেয়ে ঋতু(২৪), একই এলাকার জামাল শেখের ছেলে শেখ শাহরিয়ার ইসলাম পাপ্পু (২৭) ও মধ্য কারিগর পাড়ার মো: হায়দার সরদার অদুদের ছেলে গোলাম রসুল (২৫)। আজ বুধবার ১৫ জানুয়ারী দুপুরে কক্সবাজার পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সন্মেলনে পুলিশ সুপার রহমত উল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ” চরমপন্থী সংগঠন পুর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টি খুলনার নেতা ছিলেন হুজি শহীদ। ২০১৫ সালে যাকে হত্যার সাথে জড়িত ছিলেন কাউন্সিলর টিপু এবং হত্যা মামলার ৪ জন আসামীর মধ্যে আর এক আসামীকে একই ভাবে ২০২২ সালে হত্যা করা হয়। আর হুজি শহীদের ভাতিজা হলেন পুলিশের হাতে আটক শেখ শাহরিয়ার পাপ্পু।সেখান থেকে শত্রুতা ও ক্ষোভ তৈরী হয়। পুলিশ সুপার রহমত উল্লাহ আরো বলেন, স্থানীয় আধিপত্য ও প্রভাব বিস্তারের বিষয়ও রয়েছে এ হত্যা কান্ডের পেছনে।খুব কৌশলে পুর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী এ হত্যাকান্ডের জন্য আসামীরা কক্সবাজারকে নিরাপদ স্থান হিসেবে ব্যবহার করেছেন। পুলিশের এই কর্মকর্তা আরো বলেন,এ তিন জনই হত্যার সময় কক্সবাজার অবস্থান করেছেন।সঙ্গে থাকা নারী, কাউন্সিলর টিপুর গতিবিধি জানিয়েছেন খুনে জড়িত পাপ্পুকে। খুনের সহযোগী গোলাম রসুল সহ পাপ্পু উঠেছিলেন কক্সবাজার শহরের কক্স কুইন রিসোর্টে।খুনের পর তার ব্যবহার করা অস্ত্রটি ওই রিসোর্টের ২০৮ নম্বর কক্ষের চিলেকোঠায় রেখে পালিয়ে যান।পরে অস্ত্রটি পুলিশ উদ্ধার করে।অস্ত্রের যোগানদাতা কে বা কারা তাও তদন্ত করছে পুলিশ। এছাড়া এ ঘটনার পর পর আটক হয়ে কারাগারে থাকা খুলনার আরেক সাবেক অপসারিত ১৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ হাসান ইফতেখার ওরফে চালুর কক্সবাজারে আসার কারন ও কক্সবাজারে টিপুর বন্ধু মেজবাহ উদ্দিন ভুট্রোর বিষয়েও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। গত ৯ জানুয়ারী কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের হোটেল সিগাল পয়েন্টে রাত সাড়ে ৮ টায় কাঠের তৈরী সেতুর পাশে গুলি করে হত্যা করা হয় খুলনা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক অপসারিত ৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও মহানগর সেচ্ছাসেবক লীগের সহ সভাপতি গোলাম রব্বানি টিপুকে। এর পর ১০ জানুয়ারী কক্সবাজার সদর মডেল থানায় হত্যার ঘটনায় অজ্ঞাত পরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন নিহত টিপুর ভগ্নিপতি মো: ইউনুস আলী শেখ। পরে নিহত গোলাম রব্বানি টিপুর মরদেহ কক্সবাজার হাসপাতালে ময়না তদন্ত শেষে লাশ নিজ বাড়ি খুলনার দৌলতপুর থানা অর্ন্তগত দেয়ানা উওর পাড়া নিজ গ্রামে ফুটবল মাঠে জানাযা শেষে দেয়ানা সরকারি কবরস্থানে দাফন করা হয়।