ফিলিস্তিনের ওপর ইসরাইলের বর্বরতা নিয়ে যেখানে ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা বিশ্ব। সেখানে একরকম নীরব ভূমিকা পালন করছে মুসলিম বিশ্বের অন্যতম দেশ সৌদি আরব। যা নিয়ে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের ওপর ক্ষোভ ছিল মুসলিম বিশ্বের নেতাদের। সেই ক্ষোভ আরও বেড়েছে ইসরাইলের সঙ্গে সৌদির সম্পর্ক স্বাভাবিক করার উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানানোর পর।
আরো পড়ুনঃ ড. ইউনূসকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদি যুবরাজ মার্কিন কংগ্রেসের সদস্যদের বলেছেন, তিনি সৌদি-ইসরাইল সম্পর্ক স্বাভাবিককরণের লক্ষ্যে বড় দরকষাকষি করে নিজের জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছেন। শুধু তাই নয়, যুবরাজ মিসরীয় নেতা আনোয়ার সাদাতের নিহতের ঘটনা উল্লেখ করেও যুক্তরাষ্ট্রের কাছে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ইসরাইলের সঙ্গে শান্তি চুক্তি করার পর সাদাতকে হত্যা করা হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্র তাকে রক্ষা করার জন্য কী করেছিল?
এছাড়াও তিনি যে হুমকির সম্মুখীন হচ্ছেন সে বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়ে ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকিকরণের চুক্তিতে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের সত্যিকারের গঠনকে অন্তর্ভুক্ত করার যুক্তি তুলে ধরেন। যুবরাজ এ শর্তকে খুবই উচিত বলে অভিহিত করেন। কারণ হিসেবে বলেন, গাজা যুদ্ধ এখন ইসরাইলের বিরুদ্ধে আরবদের ক্রোধকে তীব্রতর করেছে।
তবে ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও যুবরাজ যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের সঙ্গে চুক্তির আলোচনা চালিয়ে যেতে ইচ্ছুক। কেননা, যুবরাজের মতে, এটি তার দেশের ভবিষ্যতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।