জাবি প্রতিনিধি
সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের প্রতিবাদে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ‘ভাঙ্গরে শেকল আনরে আলো’ স্লোগানে তিন দিনব্যাপী ‘সংসক্তি সংঘট্ট: সাংস্কৃতিক প্রতিরোধ’ অনুষ্ঠান আগামীকাল শুক্রবার শুরু হবে।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) বিকাল সাড়ে চারটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) কনফারেন্স কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
জানা যায়, জাহাঙ্গীরনগর থিয়েটারের (টিএসসি) আয়োজনে এ অনুষ্ঠানের প্রথম দিন আগামীকাল শুক্রবার জাহাঙ্গীরনগর থিয়েটার ও পদাতিক নাট্য সংসদের অংশগ্রহণে উদ্বোধনী পরিবেশনা এবং পদাতিক নাট্য সংসদ ও নবরস’র অংশগ্রহণে পথ নাটক প্রদর্শনী পরিবেশিত হবে।
এছাড়া আয়োজনের দ্বিতীয় দিন আগামী শনিবার প্রাচ্যনাট ও জাহাঙ্গীরনগর থিয়েটার অংশগ্রহণে পথ নাটক প্রদর্শনী এবং তৃতীয় দিন আগামী রবিবার জাহাঙ্গীরনগর থিয়েটার ও বন্ধুদের অংশগ্রহণে মুক্তির কবিতা ও গান পরিবেশিত হবে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জাহাঙ্গীরনগর থিয়েটারের (টিএসসি) সাধারণ সম্পাদক সাইয়েদা মেহের আফরোজ বলেন, ‘গনঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বৈরতন্ত্রের অবসান ঘটানো বাংলাদেশের জন্য একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক। এই গনঅভ্যুত্থানে শুরু থেকেই অংশগ্রহণ করেছে অসংখ্য সংস্কৃতিকর্মী। অসংখ্য পারফরম্যান্স আর্ট, পথনাটক দ্রোহের বানী নিয়ে আঘাত হেনেছে ফ্যাসিজমের কেন্দ্রস্থলে। আমরা বিশ্বাস করি, ফ্যাসিজমের কোনো দল থাকে না। সংস্কৃতিকর্মীদের মাঝেও কিছু স্বৈরতান্ত্রিক দালালের উপস্থিতি আমরা লক্ষ্য করেছি। দেশ নাটকের আজিজ বাবু তার ব্যতিক্রম নন। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও উপদেষ্টাবৃন্দদের অবমাননা করায় তাকে বর্তমানে দেশে প্রণীত সর্বোচ্চ আইন অনুসারে শাস্তি দেয়ার দাবী জানাই৷ দেশ নাটক কিছু মুষ্টিমেয় জনতার প্রতিবাদের মুখে আজিজ বাবুকে অব্যহতি দেন। এবং এই সিদ্ধান্তকে আমরা সাধুবাদ জানাই। কিন্তু সেই জনগোষ্ঠী কিছুক্ষণ পর আবার ফেরত আসে এবং দেশ নাটকের ‘নিত্যপুরাণ’ নাটকটি মাঝপথে বন্ধ করার দাবী জানায়। তবে এই নাটকের সাথে অভিযুক্তর কোনো সম্পর্ক ছিল না।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা মনে করি, দ্বিতীয়বার নাটক থামানোর প্রচেষ্টা করা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তীব্র নিন্দা জানাই সেই মুষ্টিমেয় জনগোষ্ঠীর প্রতি৷ আপনারা জানেন, স্বৈরাচার পতন পরবর্তী সময়ে ২২টি শিল্পকলায় ভাংচুরসহ অসংখ্য ভাষ্কর্য ভেঙে ফেলা হয়েছে। খুব সম্প্রতি গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সমাবেশে মামুনুর রশিদের ওপর হামলা হয়। সংস্কৃতিকর্মীদের ওপর বারংবার হামলা আমাদের বিচলিত করে তুলছে। ভবিষ্যৎ সংস্কৃতিচর্চার দশা ও সংস্কৃতিকর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। এমতাবস্থায় আমরা মনে করি সংস্কৃতিকর্মীদের সংহতি একান্ত দরকার। এবং গনঅভ্যুত্থানের যে স্পৃহা আমাদের মননে আমরা লালন করি তার প্রদর্শনী অতীব জরুরি।’
#………..
হাবিবুর রহমান সাগর
০১৭৬২১৫৯৮৬৭
১৪.১১.২০২৪