গল্লামারী ব্রীজের কাজ বন্ধ রেখে জন ভোগান্তির বিরুদ্ধে বৃহত্তর আমরা খুলনাবাসীর উদ্যোগে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত

লেখক:
প্রকাশ: 1 month ago

মোঃ রবিউল হোসেন খান:

খুলনা:

গল্লামারী ব্রীজের কাজ বন্ধ রেখে জনভোগান্তির বিরুদ্ধে বৃহত্তর আমরা খুলনাবাসীর উদ্যোগে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গল্লামারী ব্রীজ খুলনার প্রবেশদ্ধার। এখান থেকে প্রতিদিন ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে যাত্রী নিয়ে পরিবহন ও পন্য বোঝাই ট্রাক চলাচল করে। রোগী নিয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে বিভিন্ন হাসপাতালে ক্লিনিকে যাতায়াত। ব্রিজের ওপার খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা,কর্মচারীগন, বটিয়াঘাটা, কৈয়া বাজার,ডুমুরিয়ার নিকটবর্তী মানুষের কর্ম চাকুরী ও ব্যাবসায়ীক প্রয়োজনে প্রতিদিন খুলনা আসা যাওয়া করতে হয় তাদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। এই ভোগান্তি দুর করতে ১৫ কর্ম দিবসের মধ্যে গল্লামারী ব্রীজের কাজ শুরু না করলে কঠিন কর্মসুচি ঘোষণা করা হবে। গতকাল বিকাল সাড়ে ৪ টায় বৃহত্তর আমরা খুলনাবাসীর উদ্যোগে রাইসা ক্লিনিকের সামনে গল্লামারী ময়ুর নদীর উপর নিমিতব্য ব্রিজের কাজ বন্ধ রেখে জন ভোগান্তি সৃষ্টির প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন। ডা: মো: নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এস এম মাহবুবুর রহমান খোকনের পরিচালনায় বক্তৃতারা আরো বলেন,দীর্ঘ দিন কাজ বন্ধ থাকায় ব্রিজ নির্মানের বিভিন্ন উপকরন যত্রতত্র ফেলে রেখে যেমন নষ্ট হচ্ছে,তেমনী কোমলমতি শিশুরা বৃদ্ধ, বৃদ্ধা,অসুস্থ মানুষের চলাচল মারাত্মক ভাবে বিঘ্ন ঘটছে।মাঝে মধ্যে ছোট বড় দুর্ঘটনা ঘটছে,অন্য দিকে দীর্ঘক্ষন অসনীয় যানযট লেগে লেগে থাকায় সাধারণ মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।ব্রিজটি দুইলেন বিশিষ্ট ৬৮.৭০ মিটার দৈর্ঘ্যর ১৩.৭০ মিটার প্রস্তের এবং পানির স্তর থেকে থেকে ৫ মিটার উচ্চতা দিয়ে ৬ কোটি ৬৬ লাখ টাকা ব্যায় নির্মান কাজ ২০২৩ সালের শেষের দিকে শুরু করে ২০২৫ সালের মে মাসের মধ্যে শেষ করার কথা থাকলেও কাজের ধীর গতিতে সেটি সম্ভব না হলে একদিকে নির্মান ব্যায় বাড়বে অন্যদিকে জনগনের ভোগান্তি বাড়বে। এর পুর্বে ২০১৬ সালে ৭ কোটি টাকা ব্যায়ে এই নতুন ব্রিজ উচু করে নির্মিত হয়।তার পুর্বে সেদিন বৃহওর আমরা খুলনাবাসী সেদিন ব্রিজের পাশে প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসুচি করেছিলাম তার পর সেদিন যাদের নেতৃত্বে এই ত্রুটি যুক্ত ব্রিজটি নির্মান করে রাস্ট্র তথা জনগনের টাকার ক্ষতি সাধন করেছে ও দুর্নীতির সাথে জড়িতদের চিহ্নিত ও গ্রেফতার করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।টিকাদারের লাইসেন্স কালো তালিকা ভুক্ত করে জরিমানা কররে হবে।জামানত বাজেয়াপ্ত করতে হবে।ব্রিজের দুই পাশে ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ীদের ক্ষতি পুরন ূিতে হবে।অন্যথায় এই টিকাদারের বিরুদ্ধে কঠোর কর্মসুচির উশিয়ারি দেওয়া হয় সমাবেশে। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, পোল্টি ফিস ফিড শিল্প মালিক সমিতির মহাসচিব এসএম সোহরাব হোসেন, সাংবাদিক এম এ জলিল, সাংবাদিক সিরাজউদ্দীন সেন্টু,নাগরিক আন্দোলন খুলনার শেখ মোঃ রুহুল আমিন, বাবু – এ সালাম লেন আবাসিক কল্যান পরিষদের সহ সভাপতি মো: মাহাবুব হোসেন সোহেল,মো: আলতাপ আলী, মো: রফিকুল ইসলাম, মো: মাহবুবুর রহমান শাওন,মো: রেজাউল হোসেন, বৃহত্তর আমরা খুলনাবাসীর সহ সভাপতি ডা: সৈয়দ মোসাদ্দেক হোসেন বাবলু,ডা:আব্দুস সালাম,এ্যাড: কাজী আমিনুল ইসলাম মিঠু,মো: কামরুল ইসলাম কামু,শেখ মোহাম্মদ আলী,কাওসারী জাহান মঞ্জু,মো: কামরুল ইসলাম ভুট্রো,সাংগঠনিক সসম্পাদক সাকিল আহম্মেহ রাজা,আ: রাজ্জাক,মো: ইকবাল হোসেন তোকা প্রমুখ।

 
error: Content is protected !!