মোঃ রবিউল হোসেন খান:
খুলনা:
আওয়ামীলীগ সংবাদপত্রের সাধীনতা বিশ্বাস করে না।বাংলাদেশে ইসলামিক টিভি,দিগন্ত টিভি ও চ্যানেল ওয়ান সহ অসংখ্য টেলিভিশন চ্যানেল বন্ধ করে দিয়েছিল। শেখ মুজিব ১৯৭৫ সালে বাকশাল কায়েম করে সকল রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করেছিল।শেখ মুজিব তখন ৪ টি সংবাদপত্র রেখে বাকি সব গুলো বন্ধ করে দিয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ সারা বছর আন্দোলন সংগ্রাম করেছিল তাদের কথা বলার ও অধিকার আদায়ের জন্য। ১৭ বছরে ইলিয়াছ আলী ও চৌধুরী আলমকে গুম করার মধ্যে দিয়ে প্রায় ৬ শত নেতাকর্মীকে গুম করা হয়েছে। হাজার হাজার নেতা কর্মিকে হত্যা করা হয়েছে। শাপলা চত্বরে ছোট ছোট কোরআনের হাফেজদের নির্মম ভাবে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। প্রশাসনের ভিতর আওয়ামীলীগের দোসর যারা ঘাপটি মেরে বসে আছে তাদেরকে একতাবদ্ধ ভাবে মোকাবেলা করতে হবে। যেসব লোক ২০২৪ সালে আমাদের উপর জুলাই মাসে গুলি চালিয়েছে সে সব লোক প্রশাসনে এখনো চাকুরী করছে। তারা হয়ত খালিশপুর থেকে অন্য জায়গায় গিয়েছে। সুতারাং এদেরকে প্রতিহত করতে হলে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। তারা অনেকে সপ্ন দেখে হাসিনা দেশে ফিরে আসবে।আবার বাংলাদেশে তারা ক্ষমতায় আসবে।আমাদের সন্তানরা বুকের তাজা রক্ত দিয়ে এদিনটি এনে দিয়েছে আর এ দিনটিকে ধরে রাখতে গেলে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।তিনি আজ ১১ নভেম্বর বিকাল ৩ টায় ১৩ নং ওয়ার্ড বিএনপি দ্ধিবার্ষিক সন্মেলনে খালিশপুর থানা বিএনপি কার্যালয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবার কালে এ কথা বলেন। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা মহানগর বিএনপি সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন। ১৩ নং ওয়ার্ড বিএনপি আহবায়ক শেখ সাহিনুল ইসলাম পাখির সভাপতিত্বে উদ্ভোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খালিশপুর থানা বিএনপি আহবায়ক শেখ জাহিদুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খালিশপুর থানা বিএনপি সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান বিশ্বাস। এ সময় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন স ম আব্দুর রহমান,রেহানা ঈসা,এ্যাড: নুরুল হাসান রুবা,আবুল কালাম জিয়া, শেখ সাদী,চৌধুরী শফিকুল ইসলাম সহ বিভিন্ন নেতাকর্মি। সন্মেলনে দ্ধিতীয় অধিবেশনে কাউন্সিলরদের গোপন ব্যালটে সভাপতি শেখ সাহিনুল ইসলাম পাখি, সাধারন সম্পাদক মো: আবুল কালাম ও সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম জুয়েলকে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়।সভা পরিচালনা করেন খুলনা মহানগর বিএনপি সদস্য বিপ্লবুর রহমান কুদ্দুস।