খুলনার খালিশপুরে বিএনপির সুধী সমাবেশে দু, গ্রপের সংঘর্ষে আহত ২০

লেখক:
প্রকাশ: 3 months ago

খুলনা প্রতিনিধি : খুলনার খালিশপুরে বিএনপির সুধী সমাবেশে দুগ্রুপের সংঘর্ষ হয়।এতে সমাবেশ পন্ড হয়। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নগরীর খুলনার খালিশপুরে বিএনপির সুধী সমাবেশে দু গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।এতে দু গ্রুপের অন্তত ২০ জন নেতা কর্মি আহত হয়েছে।গতকাল সন্ধ্যায় পিপলস গোল চত্বরে সমাবেশ স্থলে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন ১১ নং ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক সরোয়ার (৪৮), ১১ নং ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য নাজমুল হাসান বাবু(৪২), মোয়াজ্জেম হোসেন অপু( ৩০),১৫ ওয়ার্ড যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক সোহেল রানা(৩২), জাহাঙ্গীর মোল্লা( ৩১), বিপ্লব (২৯), শরিফুল ইসলাম (৩৮), রানা সরদার (২৩), সোহেল(২৫),ইয়াসিন (২৮),মোস্তফা (৩৫), হোসেন(১৬),নুরুজ্জামান,রেজাউল করিম সপন,ফকির শহিদুল সহ ২০ জন আহত হয়।এদের খালিশপুর ক্লিনিক ও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সুত্র জানায়,পুর্ব ঘোষিত কর্মসুচী অনুযায়ী গতকাল বিকালে ৮ ও ১১ নং ওয়ার্ড বিএনপির সুধী সমাবেশে ছিল পিপলস গোল চত্বরে। যথারীতি সমাবেশ শুরু হয়।সমাবেশে যোগদান করার জন্য বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে মিছিল আসতে থাকে।যার নেতৃত্বে মিছিল আসে তারই নাম বলে উৎসাহিত করে উপস্থাপক।অন্য দিকে সমাবেশ মঞ্চে বক্তব্য চলতে থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন বক্তব্য শুরু করেন।এমন সময় ১১ নং ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক সরোয়ারের নেতৃত্বে একটি মিছিল সমাবেশ স্থলে আসে।মিছিলে নেতৃত্বদানকারী অন্যদের নাম বললেও উপস্থাপক সরোয়ারের নাম বলেনি।এতে করে সরোয়ার ও তার লোকজন ক্ষুব্ধ হন।সরোয়ারের নাম না বলার বিষয়টি শুনতে মঞ্চে গেলে উপস্থাপক বলেন, বাবু তাকে নাম বলতে নিষেধ করেছেন। এ কথা শুনে সরোয়ার ও তার লোকজন চিৎকার করে প্রতিবাদ করে।মঞ্চের সামনে থাকা বাবু ও তার লোকজন পাল্টা জবাব দেয়।শুরু হয় উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি। পন্ড হয়ে যায় সুধী সমাবেশ।নিরিহ নেতাকর্মীরা দৌড়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেয়।উভয় পক্ষের মধ্যে সমান তালে চলে হাতাহাতি ও কিল-ঘুষি। পাশেই খালিশপুর থানা পুলিশ অবস্থান করলেও তারা নিরব দর্শকের ভুমিকা পালন করে। পরে আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়।যাওয়ার সময় ফায়ার সার্ভিসের সামনে আরেক দফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার জের ধরে ৭ নং ওয়ার্ড বিএনপির সুধী সমাবেশ থানা বিএনপি স্থগিত করেছে বলে জানান থানা বিএনপির আহবায়ক শেখ জাহিদুল ইসলাম। খালিশপুর থানার ওসি মো: রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা সীকার করে বলেন, এটা বিএনপির নিজেদের বিষয়।সে জন্য পুলিশ গোলমাল ঠেকাতে যেতে পারেনি।বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে বলে শুনেছি,তবে কোন পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়নি বলে জানান।তবে সাধারণ জনগন বিষয়টি ভালভাবে নেয়নি বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। ১১ নং ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য নাজমুল হাসান বাবু বলেন,পুর্বপরিকল্পিত ভাবে সমাবেশ পন্ড করার জন্য আওয়ামী লীগের লোকজন নিয়ে সরোয়ার, মাসুদ,সপন ও তার লোকজন এ সভা মঞ্চে হামলা করেছে। এ ব্যাপারে থানা বিএনপির আহবায়ক ও সদস্য সচিব কোন মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।বিএনপির কর্মি রেজাউল করিম সপন বলেন,আমাদের মিছিলটা ছিল সুধীদের নিয়ে কিন্তু সেই সুধীদের সমাবেশ স্থলে ঢোকার সময় গুটি বাবু, জাহাঙ্গীর ও তার লোকজন বাঁধা সৃষ্টি করে। এরপরই উভয়পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়।

 
error: Content is protected !!