মাহতাব চৌধুরী, নোবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ
২০২৪ এর স্মরণকালের ভয়বাহ বন্যায় বর্নাতদের সহায়তায় দেশের সাধারণ মানুষের পাশাপাশি এগিয়ে আসে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যার মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
২৪’র বন্যায় বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রায় বারোটি জেলা যেমনঃ ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা এবং চাঁদপুর ইত্যাদি ভয়াবহ বন্যার সম্মুখীন হয়।
নোবিপ্রবির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের লেকচারার মহিবুল ইসলাম আহ্বানে, ঢাবির সমাজবিজ্ঞান বিভাগ এবং নোবিপ্রবির সমাজবিজ্ঞান বিভাগ একসাথে বন্যার্তদের সহায়তায় একযোগে নিরলসভাবে কাজ করে যায়।
এছাড়াও বিভাগের কিছু শিক্ষকও শিক্ষার্থীদের সাথে ২৫শে আগস্ট থেকে ৩১শে অক্টোবর, ২০২৪ইং পর্যন্ত তাদের নিরবচ্ছিন্ন কার্যক্রম চালিয়ে যায়। এই প্রচেষ্টার অংশ হিসাবে, তারা বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পন্ন করেছিলেন। যেমন: (i) প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে বন্যা দুর্গতদের কিছু উদ্ধার করেছে গ্রামগুলি এবং তাদের একটি আশ্রয়স্থলে স্থানান্তরিত করা, (ii) অনুদান সংগ্রহ: যেমন, অর্থ, কাপড়, পানীয় জল, প্রাথমিক চিকিৎসা, (iii) পণ্যের মজুদ করা এবং সেগুলি প্রক্রিয়া করা, (iv) ১ মাসে ৮০টি ট্রাক লোড করা এবং বন্যা দুর্গত এলাকায় ত্রাণ সামগ্রী পরিবহন করেছে, (v) স্থানীয় সংস্থা এবং জনগণের সাথে সমন্বয় করে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছে এবং (vi) সংগৃহীত অর্থ (২০০০ মার্কিন ডলার) দিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের কিছু পুনর্বাসন করেছে। উপরোক্ত সমস্ত ক্রিয়াকলাপ সম্পাদন করার জন্য, শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন কমিটি গঠন করে: যেমন, উদ্ধার অভিযান, অনুদান সংগ্রহ, ট্রাক লোডিং এবং পরিবহন, ত্রাণ বিতরণ, এবং বিভাগের কিছু অনুষদ সদস্যদের নির্দেশনায় পুনর্বাসন ও পর্যায়ক্রমিক পর্যবেক্ষণ এবং মূল্যায়ন কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়।
স্বেচ্ছাসেবীদের নিকট প্রশংসা পত্র হস্তান্তরকালে নোবিপ্রবির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের লেকচারার মহিবুল ইসলাম বলেনঃ বন্যায় যারা মানুষের পাশে দাড়িয়েছেন তাদের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞ। এই প্রশংসা পত্র এমন মহৎ কাজের বিনিময় হিসেবে নয় শুধুমাত্র কিছুটা সম্মান প্রদর্শনপূর্বক প্রদান করা হয়েছে। এটি হয়তো আমাদের ভবিষ্যতে মানবসেবায় অনুপ্রেরণা জোগাবে।
এছাড়াও মানবসেবায় সকলের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি আশা করেন ভবিষ্যতেও তাঁর শিক্ষার্থীরা এভাবেই দেশের মানুষের স্বার্থে কাজ করে যাবে।