বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দলোনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সার্জিস আলমের গাড়িতে ট্রাক চাপা দিয়ে হত্যা চেষ্টার প্রতিবাদে বিপ্লবী সমাবেশ অনুষ্ঠিত।

লেখক:
প্রকাশ: 4 weeks ago

 

মোঃ রবিউল হোসেন খান : খুলনা:

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দলোনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ এবং সারজিস আলমের গাড়িতে ট্রাক চাপা দিয়ে হত্যা চেষ্টার প্রতিবাদে বিপ্লবী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ২৮ নভেম্বর বিকাল ৪ টায় খুলনা মহানগরীর শিববাড়ি মোড় মুগ্ধ চত্বরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দলোনের ব্যানারে এ বিপ্লবী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দলোনের খুলনা সমন্বয়ক খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাজ্জাদুল ইসলাম আজাদ। এ সময় তিনি বলেন, ইসকন একটি জঙ্গি সংগঠন।বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য বিভিন্ন রকম ষড়যন্ত্র করছে সংগঠনটি। এর অংশ হিসেবে চট্রগ্রামে হাইকোর্ট প্রাঙ্গনে আইনজীবী সাইফুল আলমকে নৃশংস ভাবে হত্যা করা হয়। তার প্রতিবাদে এবং গতকাল ২৭ নভেম্বর বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দলোনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সার্জিস আলমকে যে হত্যা চেষ্টার ঘটনা ঘটে এরই প্রতিবাদে সারা দেশে ছাত্র সমাজ জড়ো হয়েছে। এর প্রতিবাদে সারা দেশে ছাত্র সমাজ বিক্ষোভ আন্দোলন করছে।আমরা স্পষ্ট ভাবে তাদের বলে দিতে চাই, শুধু মাত্র হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সার্জিস আলমকে হত্যা চেষ্টা করে এই ছাত্র জনতার গনঅভ্যুত্থানের যে শক্তি সে শক্তিকে দমন করা সম্ভব না। সারা বাংলাদেশ লক্ষ লক্ষ ছাত্র জনতা এই আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন।এই আন্দোলনে অংশ গ্রহণ করেছে।এই আন্দোলনে শক্তিকে রোধ করতে হলে সারা বাংলাদেশের সকল ছাত্র জনতাকে হত্যাকান্ডের মাধ্যমে করতে হবে।তারা যদি মনে করে হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সার্জিস আলমকে হামলা করে বা হত্যা করে এই এই ছাত্র জনতার গনঅভ্যুত্থানের শক্তিকে দমন করতে পারবে। আমরা তাদের কঠোর বার্তা দিতে চাই, তারা এখনো ঘরে বসে থাকতে পারছেন। আমরা যদি কঠোরভাবে রাজপথে নামি তাহলে তাদের অস্থিত্ত্ব বিলিন হয়ে যাবে।তাদের যে স্থায়ী আশ্রয় স্থল ভারত সেখানে চলে যেতে হবে। সরকারী বিএল কলেজ শিক্ষার্থী লামিয়া ইসলাম লাম বলেন,বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম নেতা যারা আছেন, তাদেরকে হত্যা করার জন্য এমন পরিকল্পনা করতে পারে আওয়ামীলীগের দালাল ও ভারতের ” র” এর এজেন্টরা।আমরা যারা বিভিন্ন জেলা ভিত্তিক বা বিভাগ ভিত্তিক নেতৃত্ব দিচ্ছি তাদেরকেও যে গাড়ি চাপা দিয়ে মেরে ফেলবে না। তার কি গ্যারান্টি আছে। তার জন্য আমরা যারা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দলোন নেতৃত্ব দিয়েছি তাদের জন্য একটা স্পেশাল আইন করা হোক।তাতে করে আমাদের ওপর কোন হামলা বা হত্যার আক্রমণ চেষ্টা করা হলে আমরা সেই আইনের মাধ্যমে তাদের কঠিন বিচারের সম্মুখীন করতে পারবো। এ সময় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দলোন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী মিনহাজুল আবেদিন সম্পদ,আল শাহরিয়ার,জহিরুল তানভীন,নাইম মল্লিক, নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির শেখ তাসিক আহম্মেদ,নদার্ন ইউনিভার্সিটির মুনতাসির বিল্লাহ,সরকারী বিএল কলেজের রুমি রহমান, সরকারী পাইনিয়ার কলেজের রাইসা ইসলাম, শামসুন্নাহার নিশি,সুন্দরবন কলেজের শহিদুল আলম জিহাদ,সিটি কলেজের সাকিব রেজা,কমার্স কলেজের মিরাজুল ইসলাম ইমন প্রমুখ। এসময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দলোনের খুলনার শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন শ্লোগান দিতে থাকে।শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে খুলনার শিববাড়ি শহীদ মীর মুগ্ধ চত্বর।শ্লোগানের সময় তারা বলেন, দিল্লি না ঢাকা। ইসকনের গুন্ডারা হুশিয়ার সাবধান। এ সময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দলোন খুলনার শিক্ষার্থীরা ইসকন কে ভারতীয় সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আক্ষায়িত করেন।ইসকনকে বাংলাদেশের মাটিতে নিষিদ্ধের দাবি জানান। প্রসঙ্গত বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দলোন খুলনার আজকের বিক্ষোভ মিছিল থাকলেও মাগরিবের নামাজের সময় এগিয়ে আসায় সময়ের সংকির্নতা থাকায় বিক্ষোভ মিছিলটি সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

 
error: Content is protected !!