মোঃ শাকিল আহামাদ জেলা প্রতিনিধি রাজশাহী
রাজশাহীর তানোরে প্রয়াত এক স্কুল শিক্ষকের দ্বিতীয় স্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রতারণার মাধ্যমে অবসর ভাতার টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।এতে প্রথম স্ত্রীর পরিবার নিয়ে পথে বসার উপক্রম হয়েছে।
এ ঘটনায় প্রয়াত শিক্ষক এনামুল হকের প্রথম স্ত্রীর পুত্র সোহানুল হক পারভেজ বাদি হয়ে তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও),তানোর থানা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
এছাড়াও অভিযোগের অনুলিপি জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা,পাঁচন্দর ইউপি চেয়ারম্যান ও সোনালী ব্যাংক তানোর শাখা ব্যবস্থাপক বরাবর প্রেরণ করা হয়েছে।
সহকারী শিক্ষক এনামুল হকের প্রথম স্ত্রী সেফালি বেগমের এক পুত্র ও এক কন্যা এবং দ্বিতীয় স্ত্রী লাইলী বেগম বেগমের এক পুত্র ও এক কন্যা রয়েছে।
জানা গেছে,উপজেলার মোহর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক এনামুল হক সোনালী ব্যাংক তানোর শাখায় একটি হিসাব নম্বর খোলেন। যেখানে তার দ্বিতীয় স্ত্রী লাইলী বেগমকে নমিনি করা হয়। এদিকে ২০২০ সালের ১২ এপ্রিল এনামুল মারা যায়। তিনি মারা যাবার পর দুই স্ত্রীর সমন্বয়ে তার অবসর ভাতা ও কল্যান তহবিলের টাকা উত্তোলনের কথা ছিল সেটা স্কুলের সকল স্টাফ জানে। স্থানীয় সালিশ বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল।
সোহানুল হক পারভেজ অভিযোগ করে বলেন,মোহর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শফিকুল ইসলাম (ধর্ম বিষয়ক) ও আন্জুর রশিদ (বি-কম) বড় ধরনের আর্থিক সুবিধা নিয়ে জাল কাগজপত্র তৈরীতে সহায়তা করেন এবং সোহানুল হক পারভেজের নামে লাইলী বেগমকে দিয়ে মিথ্যা মামলা করেন। তাদের যোগসাজশে দ্বিতীয় স্ত্রী লাইলী বেগম ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করেছেন।
এছাড়াও এসব টাকা উত্তোলনের জন্য প্রয়াত এনামুল হকের হিসাব নম্বরটি বন্ধ করে তার দ্বিতীয় স্ত্রী লাইলি বেগম ওয়ারিশদের ফাঁকি দিতে কৌশলে নিজের নামে একটি হিসাব নম্বর খোলেন যাহার নাম্বার (৪৬২৩৫০১০২৪০৮১)।
এবিষয়ে প্রয়াত এনামুল হকের দ্বিতীয় স্ত্রী লাইলী বেগম বলেন,আমার নামে নোমিনী করা আছে তাই অবসরকালীন ভাতার টাকা আমি সকল নিয়ম মেনে উত্তোলন করেছি ওয়ারিশ অনুযায়ী তারা টাকা পাবে কিন্তু আমি তাদেরকে টাকা দেবনা বলে দমভক্তি প্রকাশ করেন।
এ বিষয়ে প্রয়াত এনামুল হকের প্রথম স্ত্রীর বড় পুত্র সোহানুল হক পারভেজ বলেন,ওয়ারিশগনের মধ্য যেন অবসর কালীন ভাতার টাকা সুষ্ঠভাবে বন্টন করা হয়। তা না হলে তার বাবার বাড়ি জব্দ করা হোক এর জন্য তিনি উর্ধ্বতন কর্তপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এবিষয়ে মোহর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রমজান আলী বলেন,সহকারী শিক্ষক আন্জুর রশিদ ও শফিকুল ইসলামের মদদে এ জালিয়াতি করা হয়েছে এবং পারভেজের নামে চেকের মিথ্যা মামলা করা হয়েছে।
তিনি এই দু’শিক্ষকের শাস্তির দাবি করে বলেন,ব্যাংক ম্যানেজারও এই দায় এড়াতে পারে না। ওই দুই শিক্ষক বড় অঙ্কের টাকা ঘুষ নিয়ে জালিযাতিতে সহযোগীতা করেছে।
এ নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার খাইরুল ইসলাম বলেন,অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
এবিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান বলেন,প্রধান শিক্ষক রমজান আলী একটা বাজে লোক তাকে গাছে বেঁধে পিটানো উচিত।