কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় আশুলিয়ায় এক শিক্ষার্থীকে গুলি করে ও পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে ঢাকা-১৯ (সাভার-আশুলিয়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাইফুল ইসলামসহ ১১৯ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আশুলিয়া থানার ওসি এএফএম সায়েদ যুগান্তরকে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের কয়েকটি টিম মাঠে নেমেছে।
এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, নিহত শিক্ষার্থী আস-সাবুর আশুলিয়ার জামগড়া শিমুলতলা এলাকায় পরিবারের সঙ্গে বসবাস করে স্থানীয় শাহীন স্কুলে ১০ম শ্রেণিতে পড়াশোনা করত। ৫ আগস্ট বেলা ১১টার দিকে আস সাবুর তাদের বাসা থেকে প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে বাইপাইল এলাকায় গেলে আগে থেকে অবস্থান নেওয়া কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন শিক্ষার্থীদের ওপর সাবেক সংসদ সদস্য সাইফুল ইসলাম, মুরাদ জং, তুহিন, পারভেজ দেওয়ান, সুমন ভূইয়াসহ আসামিরা এলোপাতাড়ি গুলি করাসহ ছাত্র-জনতার ওপর হামলা করে। এতে শিক্ষার্থী আস-সাবুর গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে আসামিরা তাকে আহত অবস্থায় মারধর করলে সে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পরে নিহতের মরদেহ তার গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়।
এ ঘটনায় নির্দেশদাতা হিসেবে ঢাকা-১৯ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাইফুল ইসলামসহ সাবেক এমপি মুরাদ জং, সাভার পৌর মেয়র আব্দুল গনির ছেলে যুবলীগ নেতা তুহিন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান পারভেজ দেওয়ান, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সুমন ভূইয়া, কবির সরকারসহ ১১৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়।
মামলার সব আসামিই আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠন যুবলীগ, ছাত্রলীগের পদধারী নেতা।